সমগ্র বাংলাদেশ হতে আগত প্রায় ৪৫০ জন যুবক-যুবতীর অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশে উদ্যাপিত হচ্ছে বাংলাদেশ কাথলিক খ্রিস্টানদের যুব গঠন বিষয়ক কমিশন (এপিসকপাল যুব কমিশন) এর ‘রজত জয়ন্তী উৎসব’। ১০ নভেম্বর মোহাম্মপুর সিবিসিবি সেন্টার প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে ২ দিন ব্যাপী এই উৎসবের সূচনা ঘটে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কাথলিক বিশপ সম্মিলনীর চেয়ারম্যান আর্চবিশপ বিজয় এন. ডি’ক্রুুজ, কারিতাস বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক মি সেবাস্টিয়ান রোজারিও, কালব্ চেয়ারম্যান মি. আগস্টিন পিউরিফিকেশন, ঢাকা ক্রেডিট প্রেসিডেন্ট মি. হেমন্ত ইগ্নিসিয়াস কোড়াইয়া, এপিসকপাল যুুব কমিশনের চেয়ারম্যান আর্চবিশপ লরেন্স সুব্রত হাওলাদার, সিএসসি, এপিসকপাল যুব কমিশন এর নির্বাহী পরিচালক, ফা. বিকাশ জেমস রিবেরু, সিএসসি। ২ দিন ব্যাপী এই উৎসবের প্রথম দিন ১০ নভেম্বর সকাল হতেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জড় হওয়া শুরু করে কাথলিক যুবক-যুবতীরা তাদের প্রাণের সংগঠন এর রজত জয়ন্তী উৎসব পালন এর লক্ষ্যে। দুপুর ৩ ঘটিকায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে জুবিলী উৎসব উদ্বোধন করা হয় এবং অতিথিগণ যুবদের সঙ্গে নিয়ে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও দুই দিনব্যাপী সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডকুমেন্টারী প্রদর্শন, ক্রেস্ট বিতরণ, লটারী ড্র এবং আরো নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদ্যাপিত রজত জয়ন্তী উৎসব যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের কাথলিক যুবরা নতুন আশায় উজ্জীবিত হয়ে সুন্দর জীবন গঠনের মধ্য দিয়ে দেশ মাতৃকার সেবায় নিয়োজিত হবে। ১১ নভেম্বর মহাখ্রিস্টযাগ (কাথলিক উপাসনা) এর মধ্য দিয়ে রজত জয়ন্তী উৎসবের সমাপ্তি ঘটে। উল্লেখ্য, ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে শুরু করে, এপিসকপাল যুব কমিশন কাথলিক যুবক-যুবতীদের মানবিক ও নৈতিক গঠনের পাশাপাশি তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি, সৃজনশীল কাজে উৎসাহ সৃষ্টি, পরিবেশ ও মানুষের প্রতি যতœশীল হওয়ার শিক্ষাদানসহ উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে। রজত জয়ন্তী উৎসব পালনের মধ্য দিয়ে এপিসকপাল যুব কমিশনের কার্যক্রমে আসবে নতুন দিক নির্দেশনা ও নতুন আশা তাই প্রত্যাশা করা যাচ্ছে।