বিচিত্র সেলুকাস আর বিচিত্র চিন্তা ভাবনা নিয়ে চরম বিতর্কিত হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠেছে গুয়ারেখা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী মোঃ মিজানুর রহমান। গত ১৭ জুলাই ২০২৩ সালে উপ নির্বাচনে বিতর্কিত হবে নির্বাচিত হয়।উপ নির্বাচনে ভোটের মাঠে বিতর্কিত ভাব পরিলক্ষিত হয়। অভিযোগ প্রমানের কারণে আইনিভাবে দায়িত্ব ভার গ্রহনে কালবিলম্ব হয় গাজী মোঃ মিজানুর রহমান মিজানের। গত ১২ সেপ্টেম্বর পিরোজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বসে চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ বাক্য পাঠ করেন। অথচ শপথ বাক্য পাঠ করার পর পরই পাটিকেলবাড়ী সহ সমগ্র ইউনিয়নের মধ্যে তোরজোড় শুরু হয়। ইউনিশনের সাধারণ মানুষের মধ্যে হৈচৈ ফেলে দেয় শপথ নেওয়ার পর পরই। অথচ মুহূর্তের মধ্যে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে হতাশার কালো মেঘের ছায়া নেমে এসেছে। কিংকর্তব্য বিমুঢ় হয়ে পড়ে গুয়ারেখা ইউনিয়নের সাধারণ ভোটাররা। ক্ষনিকের চাতক পাখির মতো তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতে থাকে নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান গাজী মোঃ মিজানুর রহমান মিজানের বেআইনী কাজকর্ম। অভিযোগ উঠেছে দায়িত্ব ভার নেওয়ার সাথে সাথে কোন ধরনের সরকারি নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে চীন সফরে যান।সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান বিদেশে যাওয়ার আগে অনুমতি নেওয়া বাধ্যতা মূলক।বিভাগীয় কমিশনারের কাছে অনুমতি নেওয়ার বিধান রয়েছে। এরপর অনুমতি করি স্ব স্ব উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর অনুমতি কপি পেশ করার বাধ্য বাধকতা রয়েছে। পাশাপাশি পরিষদের সকল সদস্যদেরও অনুমতি নেওয়ার কথা উল্লেখ আছে। অথচ মনগড়া ও রাষ্ট্রের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে একক সিদ্ধান্ত নেওয়ার দুঃসাহস দেখিয়ে একটা বিতর্কের জন্ম দেয়। পাশাপাশি তড়িঘড়ি করে যাওয়ার সময় আপন ভাই গুয়ারেখা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ লাভলু গাজীকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। যদিও সরকারের আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে চলতি সময়ে গুয়ারেখা ইউনিয়নের মধ্যে এক একটা বির্তক সৃষ্টি করে দারুণ ভাবে নিন্দিত হচ্ছে যত্রতত্র ভাবে। গুয়ারেখা ইউনিয়নের বেশির ভাগ লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন গুয়ারেখা ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ দারুণ ক্ষুব্ধ। তাই ঝটপট চেয়ারম্যান গাজী মোঃ মিজানুর রহমান মিজানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেশ করেন। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়,স্থানীয় সরকার। ইউপি-১ শাখা বরাবর আবেদন করেন মোঃ জাহিদুল ইসলাম। আবেদনে বলা হয় রাষ্ট্রের আইনের শাসনকে উপেক্ষা করে বিদেশে যাওয়ার দাম্ভিকতা দেখানো।গুয়ারেখা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী মোঃ মিজানুর রহমান মিজান ক্ষমতার অপব্যবহার কারারও দুঃসাহস দেখাচ্ছেন। জামাত বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকার পাশাপাশি একটা অরাজকতা করার গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ দেওয়া হয়। অবশ্য স্থানীয় সরকার সকল অভিযোগ আমলে নেওয়ার পর শোকজ নোটিস করেন। গত সোমবার সরাসরি নোটিশের জবাব চাওয়া হয়েছে বলে বিশ্বস্ত সূত্র জানায়। এবিষয়ে জানতে চাওয়া হয় বিতর্কতার সাথে সম্পৃক্ত থাকা চেয়ারম্যান গাজী মোঃ মিজানুর রহমান মিজানের কাছে। ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছে কিনা। গণমাধ্যম কর্মীদের জ্ঞাতার্থে বলেন, আমি নুতন অবস্থায় অনেক কিছু জানতাম না। মিডিয়ার আর এক প্রশ্ন, আপনি এক মুহূর্তের জন্য পরিষদের মসনদে বসেন না। এ প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যায় সুকৌশলে। তৃতীয় প্রশ্ন, জনগণের ভোটের জন্য ওয়াদা করেছিলেন উন্নয়ন করবেন চেয়ারম্যান হলে কিন্তু উন্নয়ন করার কোন মিশন নেই কেন। এপ্রশ্ন শোনার সাথে সাথে ফোন কেটে দেয়। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী গুয়ারেখা ইউনিয়নের সাধারণ ভোটাররা গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, উপ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য মিজান গাজী মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে ভোট নিয়ে প্রতারণা করেন।এলাকায় থাকবেন, উন্নয়ন করবেন। কিন্তু সাধারণ মানুষের সেই আশায় গুঁড়ো বালি হওয়ার উপক্রম। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ উপজেলা চেয়ারম্যানও বিষয়টি নিয়ে অবগত আছেন। আসলে বিদেশে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রের অনেক আইন কানুন মেনে চলা বাধ্যতা মূলক।নাম না প্রকাশের শর্তে উপজেলার বহু চেয়ারম্যানরা গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, গাজী মোঃ মিজানুর রহমান মিজানের এটা কঠিন দাম্ভিকতা।