ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্ট
আগামী ৭ই জানুয়ারি বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বুধবার এ ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। এটা হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের ১২তম জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনের এই ঘোষণা এলো দেশজুড়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভের মধ্যে। এই প্রতিবাদ বিক্ষোভে একজন পুলিশ সদস্য সহ কমপক্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েক শত মানুষ। ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি প্রতিবাদ বিক্ষোভ করছে। তাদের দাবি শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে একটি অন্তর্র্বতী সরকার গঠনের। জাতীয় টেলিভিশনে হাবিবুল আউয়াল ঘোষিত শিডিউল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ তারিখ ৩০শে নভেম্বর। ১লা থেকে ৪ঠা ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই করা হবে।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ই ডিসেম্বর। ১৮ই ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদেরকে। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন করছে। শেখ হাসিনার প্রশাসন দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগের মুখোমুখি। বিএনপির কিছু নেতা জেলে আছেন। নেত্রী খালেদা জিয়া আছেন গৃহবন্দি। তার ছেলে তারেক রহমান নির্বাসনে। যুক্তরাষ্ট্র এখানে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দাবি করছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ইস্যুও জোরালোভাবে তুলে ধরেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিছু রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২৮শে অক্টোবর মহাসমাবেশের পর বিরোধী দলের সদস্য ও প্রতিবাদকারীদের কমপক্ষে ৮০০০ জনকে জেলে নেয়া হয়েছে। বিরোধী দলের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তারা বলছে, নির্বাচন হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য পশ্চিমা বড় দেশগুলোর আহ্বানে বিরোধীদের সঙ্গে সংলাপের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। বিএনপিকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন বলেছেন, নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সংঘাতময় কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তার দায় পড়বে নির্বাচন কমিশনের কাঁধে। এরই মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণাকে সামনে রেখে বাড়ানো হয় নিরাপত্তা। দেশজুড়ে বাড়ানো হয় নজরদারি। ঘোষণা অনুযায়ী, নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ১৮ই ডিসেম্বর থেকে ৫ই জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত।