ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র আঘাতে নোয়াখালীর উপকূলীয় অঞ্চলের ২১২টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধস্ত, আংশিক বিধস্ত হয়েছে ৯১৩টি ঘরবাড়ি। এর মধ্যে মিধিলির আঘাতে ভেঙ্গে গেছে এক পোল্ট্রি খামারীর স্বপ্ন। পথে বসার অবস্থা হয়েছে ওই খামারীর। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শুক্রবার বিকালে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র আঘাতে জেলার কবিরহাট উপজেলার ৩নং ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড পূর্ব নবগ্রামের আজাদ সর্দারের দোকান সংলগ্ন হাজী নুর নবী সর্দারের খামারে ৩হাজার পোল্ট্রি মুরগী সহ বিশাল একটি ঘর পানিতে পড়ে গিয়ে মুহুর্তেই ডুবে যায় তার স্বপ্ন। খামারের মালিক হাজী মো: নুর নবী সর্দার জানান, তার খামারে বাজার জাত করার জন্য রেডি করেছেন ৩হাজার পোল্ট্রি মোরগ। দুদিন পরেই সব মোরগ পাইকারের হাতে হস্তান্তর করা কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র আঘাতে তার নিজের চোখের সামনেই মুহুর্তেই ধুমড়ে মুছড়ে পড়ে গিয়ে সব গুলো মোরগ পানিতে ডুবে যায়। এতে করে তার ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়ে গেছে। এমতবস্থায় সরকারের কাছে সহযোগিতা কামনা করে পনরায় তাকে ব্যবসা করার জোর দাবি জানান ওই খামারী হাজী মো: নুর নবী সর্দার। এ বিষয়ে কথা বললে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো: আমির হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র আঘাতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কয়েকটি পোল্ট্রি খামারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা সব ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে উপজেলায় জমা দিয়েছি এবং অনুরোধ করছি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে যোগাযোগ করে ক্ষতিগ্রস্ত খামারীদের পাশে দাড়াতে। ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র আঘাতে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার বিষয়ে জানতে চাইলে কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতিমা সুলতানা বলেন, ইউনিয়ন বিত্তিক ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরী করে জেলায় পাঠানো হচ্ছে। সব মিলিয়ে জেলা থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। আর বরাদ্ধা আসলে সকল ক্ষতিগ্রস্তরা তা পাবে।