নরসিংদী জেলার বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত বাংলার ম্যানচেষ্টার মাধবদী (বাবুরহাট)। দেশীয় বস্ত্র শিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা মাধবদী। এখানে সারাদেশ থেকে কাপড় ব্যবসায়ীরা প্রায় প্রতিদিন আসেন ব্যবসায়িক প্রয়োজনে। বেশ কিছু কারখানা দেশের বাইরে ও বেশ ক’টি রাষ্ট্রে কাপড় রপ্তানি করে আসছে। প্রচুর রাজস্ব আয় হয় এখান থেকে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে রং, সুতা ও কাঁচা মালের তুলনায় উৎপাদন খরচ বেশী হওয়ায় তৈরি কাপড় বিক্রিতে লোকসান গুনতে হচ্ছে ফ্যাক্টরী মালিকদের। আর তাই অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে এবং আরো অনেক কারখানা বন্ধ হওয়ার আশংকায় বিপুল পরিমাণের শ্রমিক/কর্মচারী বেকার হয়ে পড়ার আতঙ্কের দরুন অস্থিরতার মধ্যে রয়েছেন। ব্যাপক হারে কারখানা বন্ধ হলে শুধু শ্রমজীবি মানুষই নয় রাজস্ব আদায়ও মারাতœক ভাবে হৃাস পাবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এ ছাড়াও যেসব কারখানা ব্যাংক ঋণের উপর নির্ভশীল তাদের সমস্যা আরো প্রকট হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মিল মালিকরা। এ সমস্যার মূল কারণ জানতে বস্ত্র শিল্পের সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানাগেছে দেশের বাইরে কাপড় রপ্তানীতে নানা জটিলতা এবং অবৈধ পথে ভারত, চীন সহ অন্যান্য দেশ থেকে কাপড় ও তৈরি পোষাকের অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে না পারলে ব্যায়বহুল ও উন্নতমান সম্পন্ন কাপড় তৈরি করে বর্তমান বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা সম্ভব নয়। কারন দেশী কাপড়ের মান যতই উন্নত হোকনা কেন বিদেশী সীল আর বিদেশী কাপড় হলেই অধিকাংশ ক্রেতার আকর্ষন বিদেশী কাপড়ের দিকে এ কারনে বিপণনের ক্ষত্রেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ফলে দেশীয় বস্ত্র শিল্পের দীর্ঘ তিন যুগের খ্যাতি ও প্রসার ক্রমেই বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে অনেক কারখানার মালিক ও শ্রমিকদের এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যেতেও দেখা যাচ্ছে। সেই সাথে স্থানীয় নতুন উদ্যোক্তার প্রচুর সম্ভাবনা থাকলেও বিদেশী বিনিয়োগ কারিরা এখানে আসতে আগ্রহ হারাচ্ছে বলে অনেক শিল্প মালিক জানিয়েছেন।