আমাদের জাতীয় ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম অধ্যায় হলো একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। মহান মুক্তি সংগ্রামে বাংলাদেশের সকল শ্রেণির মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে জন্মলাভ করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। ঢাকার অদূরে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স প্রাঙ্গনে মুক্তিযুদ্ধের এই মুক্তির উল্লাস অবস্থিত। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের স্মৃতিকে লালন করার জন্য এবং পরবর্তী প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতার চেতনাকে প্রবাহিত করার ও স্বাধীনতাযুদ্ধ স্মরণে নির্মিত এই মুক্তির উল্লাস। ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ যাওয়ার পথে কাপাসিয়া কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ চত্বর সংলগ্ন উপজেলা শহরের প্রবেশপথেই থানা কমপ্লেক্স মিলনায়তনের ঠিক সামনেই এর অবস্থান। এই স্থাপনা নির্মাণ করেছে কাপাসিয়া উপজেলা প্রশাসন। ৪০ ফুট উচুঁ স্তম্ভটি বলিষ্ঠ এক মুক্তিযোদ্ধা উপরে দু’হাত তুলে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশের পতাকা সম্বলিত অস্ত্র হাতে। ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৬’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান এবং ৭১’র স্বাধীনতা সংগ্রামের বিমূর্ত আর স্বাধীনতা মুক্তির উল্লাস চিত্র। প্রতিভা কোনো সীমাবদ্ধ সিদ্ধিতে সন্তুষ্ট থাকে না, অসন্তোষই তার জয়যাত্রা পথের সারথি-বলেছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এটাই সত্য একজন কর্মদক্ষ বলিষ্ঠ দায়িত্বশীল অফিসারই পারেন শ্রম ও সুদক্ষতার মাধ্যমে একটি উপজেলার আমূল পরিবর্তন করতে। তার বাস্তব উদাহরণ হচ্ছে ইউএনও একেএম গোলাম মোর্শেদ খাঁন তার বলিষ্ঠ কর্মদক্ষতায় আর সুদৃঢ় প্রয়াসে ইতিহাস ঐতিহ্যের বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী বঙ্গতাজ তাজউদ্দিন আহামদ এর কাপাসিয়া উপজেলার উন্নয়ন চিত্র। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম গোলাম মোর্শেদ খাঁন একের পর এক কার্যকরী উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে বদলে যাচ্ছে পুরো কাপাসিয়া উপজেলার চিত্র। তিনি ২০২১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। তাঁর যোগদানের পর থেকেই উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড নবরূপে রূপান্তরিত হতে শুরু করেছে। তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের উল্লাসকে স্বরন রাখতই এই মুক্তির উল্লাস। উল্লেখ্য, মুক্তির উল্লাসটি নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০২৩ অর্থ বছরের জুনের প্রথম সপ্তাহে। “বিজয়ের মুক্তির উল্লাস” আনুষ্ঠানিকভাবে শুভ উদ্বোধন করেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বঙ্গতাজ কন্যা সিমিন হোসেন রিমি এমপি।