ঘূর্ণিঝড় হামুন’র পর মিধিলি’তে দ্বিতীয় দফায় ব্রীজ ধ্বসে পড়েছে চকরিয়ার মানিকপুর ব্রীজ। বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা বিবেচনা করে স্থানীয় চেয়ারম্যান কর্তৃা নিজ খরচে নির্মিত বাইপাশ সড়ক দিয়ে ঝুঁকিতে চলছে চকরিয়া-মানিকপুর সড়কের যানবাহন। জানাযায়, চকরিয়া উপজেলার কাকারা-মানিকপুর সড়ক দিয়ে ওই এলাকার অন্তত ৮-১০টি গ্রামের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে যাতায়াত ও বানিজ্যিক পন্য সরবরাহ করে আসছিল। ঘূর্ণিঝড় হামুনে ক্ষতিগ্রস্তের পর মিধিলিতে দ্বিতীয় দফায় ব্রীজ ধ্বসে পড়ে বিচ্ছিন্ন হয় যোগাযোগ। পাশাপাশি মানিকপুর ইউনিয়নের পাশ্বোক্ত ফাইতং এলাকার অন্তত দুটি গ্রামের প্রায় ৩ হাজার জনগোষ্ঠী এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। ফাইতং খালের সংযোগ সেতুর বিকল্প সড়ক ব্যবস্থা না থাকায় এক সপ্তাহ ধরে ওই সড়কে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকে। ফলে সুরাজপুর মানিকপুর ইউনিয়নের মানিকপুর ও পাশের উপজেলা লামার সাথে চকরিয়া উপজেলা সদরের গাড়ি যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়। কৃষির ওপর নির্ভরশীল মানিকপুরবাসীর সেতুটি ধসে যাওযার কারণে অনেক দরিদ্র কৃষক তাদের ক্ষেতের উৎপাদিত সবজি ও তরিতরকারি সঠিক সময়ে বাজারজাত বা বিক্রি করতে না পারায় চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। যার কারণে প্রান্তিক চাষিরা চরম হতশায় পড়েছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম অস্থায়ীভাবে বিকল্প কাঁচা সড়ক তৈরী করলেও টেকছেনা ব্রীজ ও সড়ক। ফলে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন ও পন্যবাহী চার চাকার গাড়ী। মানিকপুরের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার ছালেহা বেগম জানান,বিগত ঘুর্ণিঝড় হামুন এর প্রভাবে ও বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যার তোড়ে ধ্বসে পড়ে ব্রীজটি। কোন রকমে বিকল্প একটি সড়ক করলেও ফের ঘুর্ণিঝড় মিধিলির তান্ডবের ঝড়ো বৃষ্টিতে ভেঙ্গে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। স্থানীয় চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিমের প্রচেষ্টা ওখরচে এবং কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকদের মাধ্যমে জোড়াতালীতে তৈরী করা হয় বিকল্প বাইপাস সড়ক। বাইপাস হলে ছোটখাট গাড়ী চললেও ইটভাটার ইটবাহী ডাম্পার ট্রাক ও স্কেভেটর চলাচলের কারনে টেকছেনা সড়ক। ফলে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। ব্রীজটি দ্রুত মেরামতের দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগী স্থানীয় জনসাধারণ।