শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৪:৩৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
বগুড়া শেরপুরে আগুনে পুড়লো পঁচিশ বিঘা জমির ভুট্টা ইসলামাবাদে ভোট কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগে মানববন্ধন বীর মুক্তিযোদ্ধার নির্মাণাধীন দোকানে সন্ত্রাসী হামলা বাগেরহাট নানান আয়োজনে মে দিবস পালিত ভালুকা বিশেষায়িত পেঁয়াজ প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন বরিশালে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন কুড়িগ্রামের উলিপুরে ভুট্টা মাড়াইয়ে ব্যস্ত কৃষকেরা, দ্বিগুণ লাভের আশা নগরকান্দায় অগ্নিকান্ডে চারটি দোকান ঘর ভস্মীভূত দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি না হলে গণতন্ত্রের মুক্তি হবে না-কেন্দ্রীয় বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সরোয়ার গলাচিপায় পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা ও জাতীয় স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস পালিত

কমলা চাষে সফল মির্জাপুরের দেলোয়ার

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৩

দেশের মাটিতে চায়না কমলা চাষে সফল হয়ে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন কৃষি উদ্যোক্তা দেলোয়ার হোসেন। শিক্ষিত যুবক দেলোয়ার লেখাপড়া শেষ করে ঘুরেছেন সোনার হরিণ নামে চাকরির পেছনে, তবে সেখানে সফলতা পাননি। এরপর শুরু করেন আমদানি-রফতানির ব্যবসা। ব্যবসাও ঠিকমত চলছিল না। ফিরে আসেন আপন ঠিকানা টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বাশতৈল ইউনিয়নে পাঁচগাও নিজ গ্রামে। প্রতিষ্ঠা করেন দিলু অ্যাগ্রোফার্ম নামে একটি ফলের বাগান। প্রথমে ছোট পরিসরে ১০০টি পেয়ারা গাছ দিয়ে বাগান শুরু করলেও সফলতার ব্যাপ্তি বাড়ার সাথে বাড়তে থাকে তার বাগানের আকার। বর্তমানে সাড়ে ছয় একর জমিতে সাড়ে চার হাজার গাছের বিশাল বাগানে পরিণত হয়েছে তার স্বপ্ন। তার বাগানে রয়েছে দুই হাজার ২০০টি পেয়ারা গাছ, ৭৬০টি মাল্টা গাছ, লেবু গাছ ২০০টি, আমড়া ও লটকন গাছ ৩০টি করে, কদবেল ও জাম্বুরা গাছ ১০টি করে, আনার গাছ পাঁচটি এবং রামভুটান ও চেরি গাছ রয়েছে চারটি। নতুন অতিথির তালিকায় যুক্ত হয়েছে ১৪০টি চায়না কমলা গাছ।
বাগান ঘুরে দেখা গেছে, তার বাগানের প্রতিটি গাছেই শোভা পাচ্ছে সুমিষ্ট ফল। বিশেষ করে চায়না কমলা, পেয়ারা ও বারোমাসি আম বাগানে আসা দর্শনার্থীদের নজর কাড়ে।
পাঁচগাও গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে দেলোয়ার ২০০২ সালে গাজীপুর আনসার ভিডিপি স্কুল থেকে এসএসসি ও ২০০৪ সালে ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর তিতুমীর কলেজ থেকে ব্যবস্থাপনায় সম্মানসহ ২০১৪ সালে স্নাতত্তোর শেষ করেন।
দেলোয়ার জানান, তার বাগানে এখন সবচেয়ে লাভজনক ফলজ গাছ চায়না কমলা। রোপনের চার বছর পর থেকে গাছ থেকে কমলা আহরণ করা যাচ্ছে। ফলনভেদে প্রতিটি গাছ থেকে দুই কেজি থেকে দুই মণ পর্যন্ত কমলা উৎপাদন হয়ে থাকে। গতবছর ১৫০ টাকায় বিক্রি করলেও চলতি বছর তিনি প্রতিকেজি কমলা বাগান থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন। বাগান পরিচর্যা ও দেখভালের জন্য রয়েছে ১০ জন কর্মচারি। তিনি আরো জানান, তার এই ফলজ বাগান থেকে বর্তমানে বছরে ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা আয় হচ্ছে। বাগান পরিচর্যা ও বিভিন্ন কীটনাশক বাবদ প্রায় দুই লাখ টাকার খরচ করতে হয়। বাগানের গাছের বয়স বাড়ার সাথে সাথে তার আয় বাড়বে বলে তিনি উল্লেখ্য করেন।
শুধু চায়না কমলা না, চায়না কমলার কলমের চারা তৈরি করার জন্য কমলা গাছের ডাল বিক্রি করে তিনি চলতি ৭০ হাজার টাকা আয় করেন বলে জানান। দেলোয়ার হোসেন যেমন নিজে স্বপ্ন দেখছেন, তেমনি তরুণদেরও স্বপ্ন দেখাচ্ছেন।
তিনি তরুণদের উদ্দেশে বলেন, ‘চাকুরি কিংবা বিদেশের যাওয়ার জন্য ঘোরাঘুরি না করে কৃষিতে আত্মনিয়োগ করুন, আপনি লাভবান হবেন। কৃষিতে আপনার কখনো লোকসান হবে না।’
দেলোয়ার জানান, চায়না কমলার অনাবাদি জমিতেও ভালো ফলন হয়। তাই এর ব্যাপক চাষে কমলা ফল আমদানি করে আমাদের দেশের যে পরিমান বৈদেশিক মুদ্র ব্যয় করতে হয় তা অনেকাংশে হ্রাস করা সম্ভব। বাঁশতৈল ইউনিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাদত হোসেন জানান, মির্জাপুর উপজেলার লালমাটি এলাকা চায়না কমলা চাষের জন্য উপযোগী। চায়না কমলা চাষে খরচ কম, লাভ বেশি। কমলা আমদানি করে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার ব্যয় হয় তা এ অ লে চাষ করে কমিয়ে আনা সম্ভব। বর্তমানে যারা কৃষিকাজে এগিয়ে আসছে, সরকার তাদের সবধরনের সহযোগিতা দিয়ে থাকে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com