শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩১ অপরাহ্ন

ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের প্রথম মহাজন

হারুন রশীদ
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৩
ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের চার্টার, ১৬৯৪। সূত্র: ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের ওয়েবসাইট

১৬৪১ সালের সেপ্টেম্বরে ক্যারিবিয়ান সমুদ্রে মূল্যবান সম্পদবাহী একটি স্প্যানিশ জাহাজ ডুবে যায়। খবরটি প্রথমে চেপে রাখা হয়। কারণ জানাজানি হলে নিমজ্জিত জাহাজের মধ্যে থাকা ধনসম্পদ লুট হয়ে যেতে পারে। আলমিরান্তা নামের ৬০০ টনের জাহাজটি মেক্সিকো থেকে স্পেনের উদ্দেশে যাওয়ার পথে ঝড়ের কবলে পড়ে। ৫৩২ জন যাত্রীর মধ্যে কোনোমতে ১৯৪ জন প্রাণে বেঁচে গেলেও জাহাজের সব সোনাদানা, টাকা-পয়সার সলিল সমাধি ঘটেছিল। সে সম্পদের বড় অংশের মালিকানা ছিল স্পেনের রাজা চতুর্থ ফিলিপের। সেকালে দক্ষিণ আমেরিকার উপনিবেশগুলো থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে স্প্যানিশ জাহাজ প্রায়ই আটলান্টিক পাড়ি দিত। মাঝে মাঝে দুর্ঘটনায় কোনো কোনো জাহাজ চিরতরে হারিয়ে যেত। জাহাজটি ছিল ডুবে যাওয়া জাহাজগুলোর মধ্যে বৃহত্তম। তাই রাজকীয় উদ্যোগে স্প্যানিশ অনুসন্ধানীরা ওই এলাকায় তন্নতন্ন করে জাহাজের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। জাহাজের ধ্বংসাবশেষ কিংবা হারিয়ে যাওয়া মূল্যবান সম্পদের কিছুই উদ্ধার করা যায়নি।
জাহাজডুবির খবরটা বেশিদিন চাপা থাকেনি। জানাজানি হওয়ার পর নানা দেশের সম্পদলোভী অভিযাত্রীরা ক্যারিবিয়ান সাগরে একের পর এক অভিযান চালিয়ে গেছে গুপ্তধনের খোঁজে। কিন্তু জাহাজটি ঠিক কোথায় ডুবে গিয়েছিল তার কোনো হদিস ছিল না কারো কাছে। তাই খুঁজে খুঁজে হয়রান হয়ে ফিরে গেছে অভিযাত্রীরা। কারো ভাগ্যের শিকে ছেঁড়েনি দীর্ঘ ৪৫ বছর। ১৬৮৭ সালের জানুয়ারিতে সেই ডুবে যাওয়া জাহাজের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পান উইলিয়াম ফিপস নামের এক আমেরিকান গুপ্তধন সন্ধানী।
গুপ্তধন শিকারি উইলিয়াম ফিপস: উইলিয়াম ফিপসের জন্ম ১৬৫১ সালে ব্রিটিশ শাসিত আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের দরিদ্র এক পরিবারে। ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত গ্রামে ভেড়ার পাল চরানো বাদে আর কোনো জীবিকা ছিল না তার। ১৮ বছর বয়সে জীবিকার সন্ধানে তিনি বোস্টন শহরে চলে আসেন। চার বছর ধরে জাহাজ নির্মাণের কাজে হাত পাকানোর পর তিনি বোস্টনের এক সচ্ছল ব্যবসায়ীর বিধবা কন্যা মেরি স্পেনসারকে বিয়ে করেন। বৈবাহিক সূত্রে তিনি বেশকিছু সম্পদের মালিক হয়েছিলেন। সে টাকায় ১৬৭৫ সালে তিনি একটা নৌযান নির্মাণের কারখানা খোলেন বোস্টন শহরে। সমুদ্রগামী নৌযান তৈরি করে হয়ে ওঠেন পুরোদস্তুর জাহাজের কারবারি। কিন্তু ১৬৭৬ সালে আমেরিকান আদিবাসীদের সঙ্গে ইংরেজ ঔপনিবেশিকদের মধ্যে সংগঠিত একটা যুদ্ধ তার সদ্য আলোর মুখ দেখা ব্যবসার ওপর আঘাত হানে। আদিবাসী ইন্ডিয়ানদের আক্রমণে তার কারখানা ধ্বংসের মুখে পতিত হয়।
কিছুকাল পর তার মধ্যে সমুদ্রের তলদেশ থেকে ডুবন্ত জাহাজের গুপ্তধন উদ্ধারের নেশা ভর করে। ১৬৮০ সালে বাহামা দ্বীপের পাশে এক অভিযানে গিয়ে তিনি প্রথমবারের মতো কিছু জাহাজডুবির সম্পদ উদ্ধার করেন। অভিযানে যারা অংশ নিয়েছিল তাদের সবাই বেশ ভালো রকমের লাভ করেছিল। সে থেকে বোস্টন শহরে ডুবন্ত জাহাজের সম্পদ উদ্ধার করার বিষয়ে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন ফিপস।
১৬৮৩ সালে তিনি ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে লন্ডন শহরে গিয়ে উপস্থিত হন। কাকতালীয়ভাবে ওই সময়ে ইংল্যান্ডের রাজা দ্বিতীয় চার্লসের অন্যতম উপদেষ্টা স্যার জন নারব্রুর সঙ্গে দেখা হয় তার। যিনি অল্প কিছুদিন আগে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে ডুবন্ত জাহাজের গুপ্তধন উদ্ধারের একটা গোপন অভিযান পাঠিয়েছিলেন। স্যার নারব্রুর সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পেয়ে তিনি সমুদ্রের তলদেশ থেকে ডুবন্ত জাহাজের সম্পদ উদ্ধারের ব্যাপারে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানান। তখন স্যার নারব্রু রাজা দ্বিতীয় চার্লসের অনুমতি নিয়ে আরেকটি অভিযানের জন্য নির্বাচিত করেন উইলিয়াম ফিপসকে।
সাধারণত এমন অভিযানের ক্ষেত্রে রয়াল নেভিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা না থাকলে কাউকে দায়িত্ব দেয়া হয় না। কিন্তু এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হয়েছিল ক্যারিবিয়ান সমুদ্রে তার সম্পদ আহরণের পূর্ব অভিজ্ঞতার কারণে। অভিযানের জন্য তাকে কোনো টাকা-পয়সা দেয়া হয়নি। স্যার নারব্রু শুধু প্রয়োজনীয় জাহাজ সরবরাহ করেন। অভিযানে যারা অংশ নেবেন তাদের নিজেদের টাকায় অভিযান শেষ করতে হবে। অভিযান সফল হলেই তারা লাভের অংশ পাবে। জন ফিপসের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে তাতে অভিযানে প্রাপ্ত সম্পদের ৩৫ শতাংশ রাজাকে দেয়ার পর বাকি অংশ নাবিকদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিতে পারবে। সে লাভের আশায় নাবিকরা এ অভিযানে যুক্ত হয়েছিলেন।
অভিযান পরিকল্পনা চূড়ান্ত হওয়ার পর উইলিয়াম ফিপস লন্ডন থেকে ‘রোজ অব আলজিয়ার্স’ নামের ২০ কামানের একটা ফ্রিগেট নিয়ে আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে বোস্টনে পৌঁছান। সেখান থেকে তিনি আরো কয়েকটি জাহাজ ও ডুবুরি জোগাড় করে ক্যারিবিয়ান সাগরে গুপ্তধনের সন্ধানে নেমে পড়েন। অভিযানটি চলেছিল বছর খানেক ধরে। সে সময় তাকে অনেক অনাহুত পরিস্থিতি ও প্রতিযোগিতার চ্যালেঞ্জ নিতে হয়েছিল অন্য অভিযাত্রী দলের সঙ্গে। অনেক ঝক্কিঝামেলার পর অভিযান শেষ করে তিনি লন্ডনে ফিরে যান ১৬৮৫ সালের আগস্টে। যে পরিমাণ সম্পদ উদ্ধার হয়েছিল সেখান থেকে রাজার অংশ ছিল মাত্র ৪৭১ পাউন্ড। লাভের অংকটা তেমন লোভনীয় না হলেও তিনি অভিযান শেষ করে লন্ডন ফিরে এসে যে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছিলেন সেজন্য তাকে ১৬৮৬ সালের পরবর্তী ক্যারিবিয়ান অভিযানের জন্য নির্বাচিত করা হয়।
আলমিরান্তার সন্ধান লাভ: পরের অভিযানে তিনি দুটি জাহাজ নিয়েছিলেন। ২০০ টনের জাহাজ ‘জেমস অ্যান্ড মেরি’ এবং ৪৫ টনের একটি ছোট জাহাজ ‘হেনরি অব লন্ডন’। বড় জাহাজটির দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি নিজেই। ছোট জাহাজটির দায়িত্বে ছিলেন ক্যাপ্টেন রজার্স। ১৬৮৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বর তিনি যাত্রা করে হিসপানিওয়ালা (বর্তমান ডমিনিকান রিপাবলিক) দ্বীপের কাছে পৌঁছান ২৮ নভেম্বর। কয়েক সপ্তাহ ধরে তিনি আশপাশের অঞ্চলে জরিপ ও অনুসন্ধান করার পর ১২ জানুয়ারি ১৬৮৭ তিনি ক্যাপ্টেন রজার্সকে বাহামার দক্ষিণ দিকে নির্দিষ্ট একটা অঞ্চলে অনুসন্ধান চালানোর নির্দেশ দেন। অনুসন্ধানে কয়েকজন নেটিভ আমেরিকান আদিবাসীকেও ডুবুরি হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল।
২০ জানুয়ারি দলটা উপকূলের কাছে কয়েকটি কামানের সন্ধান পায়। কামানগুলোর একটু দূরেই ছিল একটা ডুবন্ত জাহাজের ভগ্নাংশ। ডুবুরিরা একের পর এক ডুব দিয়ে উদ্ধার করতে থাকে অসংখ্য রৌপ্য মুদ্রা। খবরটা ক্যাপ্টেন ফিপসের কানে পৌঁছানোর পর তিনি নিজের জাহাজ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত হন। তিনি দেখেশুনে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যান এটাই সে বহুল কাঙ্ক্ষিত জাহাজ, যার খোঁজে গত চার দশকে অসংখ্য অভিযান হয়েছে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে।
গুপ্তধন খুঁজে পাওয়ার উচ্ছ্বাসের পাশাপাশি একটা আশঙ্কাও দেখা দেয়। ফিপস জানেন এত বিপুল সম্পদের লোভ সামলানো কঠিন। নাবিকদের মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো বিদ্রোহের সম্ভাবনা দেখা না দেয়, তিনি সেদিকে খেয়াল রেখে আগেভাগে সবাইকে ডেকে বলে দিলেন, এ সম্পদ উদ্ধার করে লন্ডনে নিতে পারলে সবাইকে নির্ধারিত মজুরির দ্বিগুণ পরিশোধ করা হবে। পাশাপাশি উদ্ধারকৃত সম্পদের অংশও তাদের দেয়া হবে। প্রয়োজন হলে তিনি নিজের অংশ থেকে তাদের পাওনা পরিশোধ করবেন বলে ব্যক্তিগতভাবে আশ্বস্ত করলেন।
তারপর দলবল নিয়ে কয়েক মাস ধরে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে প্রচুর পরিমাণ রৌপ্য মুদ্রাসহ বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র উদ্ধার করেন। উদ্ধারকৃত সম্পদের পরিমাণ ছিল ৩৪ টনের মতো। আর্থিক মূল্য দাঁড়িয়েছিল ২ লাখ ৫ হাজার ৫৩৬ পাউন্ড। এর আগে যেকোনো জাহাজডুবি সম্পদ উদ্ধারের ক্ষেত্রে এটাই ছিল সর্বোচ্চ রেকর্ড।
উদ্ধারকৃত মালপত্র জাহাজে বোঝাই করে খুব সতর্কতার সঙ্গে আটলান্টিক পাড়ি দেন তিনি। টেমস নদীর মোহনায় প্রবেশ করার আগে কোনো বন্দরে নোঙর করার সাহস করেননি। টেমসের মোহনায় গ্রেভসেন্ড বন্দরে নোঙর করার পর তিনি লন্ডনে খবর পাঠালেন। জাহাজ নিয়ে লন্ডনে পৌঁছানোর পর রাতারাতি খ্যাতিমান হয়ে উঠেছিলেন উইলিয়াম ফিপস। উদ্ধারকৃত সম্পদের মধ্য থেকে পুরস্কার হিসেবে ফিপসকে দেয়া হয়েছিল ১৬ হাজার পাউন্ড। তার অভিযান সঙ্গীদের জন্য দেয়া হয়েছিল আরো ৮ হাজার পাউন্ড। রাজা দ্বিতীয় জেমস তাকে স্যার উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন। সে বছরই তাকে আবারো পাঠানো হয় বাকি সম্পদগুলো উদ্ধারে। কিন্তু ততদিনে খবর ছড়িয়ে পড়লে অন্যান্য অভিযাত্রী জাহাজ গিয়ে ওই এলাকায় ভিড় করে এবং অবশিষ্ট সম্পদ লুটপাট হয়ে যায়। তিনি ১০ হাজার পাউন্ডের মতো সম্পদ উদ্ধার করতে পেরেছিলেন দ্বিতীয় পর্বে। পরের বছর তিনি বোস্টনে ফিরে যান প্রোভোস্ট মার্শাল জেনারেল পদ নিয়ে। পরে তিনি ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের প্রথম গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন।
ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের জন্মলগ্নে: ম্যাসাচুসেটসের গভর্নর হওয়ার আগে তিনি লন্ডন শহরের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগে অংশ নিয়ে ইতিহাসে ঠাঁই করে নিয়েছিলেন। ১৬৯০ সালে ফ্রান্সের সঙ্গে দীর্ঘ সময়ের নৌযুদ্ধে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছিল ইংল্যান্ড। পুরো দেশের অর্থনীতি তখন নাজুক অবস্থায় পড়ে গিয়েছিল। যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার প্রধান কারণ ছিল ইংল্যান্ডের নৌবাহিনীর দুর্বলতা। একটা শক্তিশালী নৌবাহিনী ছাড়া তখনকার দুনিয়ায় টিকে থাকা অসম্ভব ব্যাপার। নৌবহর পুনর্গঠনের জন্য যে পরিমাণ পুঁজির দরকার ছিল ইংল্যান্ডের রাজকোষে সে পরিমাণ পুঁজি ছিল না। এ সমস্যা মোকাবেলা করার জন্য স্কটিশ ব্যবসায়ী উইলিয়াম প্যাটারসন প্রস্তাব করেন সাধারণ জনগণের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহ করার মাধ্যমে বিষয়টার সমাধান করা যায়। অতঃপর সিদ্ধান্ত হয় ‘গভর্নর অ্যান্ড কোম্পানি অব দ্য ব্যাংক অব ইংল্যান্ড’ নামের একটি সংস্থা গঠিত হবে, যারা শতকরা ৮ ভাগ সুদের বিনিময়ে বন্ড ইস্যু করবে সাধারণ জনগণের মধ্যে। যারা যত টাকা বিনিয়োগ করবে, তাদের সে অংকের ব্যাংক নোট ইস্যু করা হবে। এটি একটিঅভিনব প্রস্তাব ছিল। কিন্তু উদ্যোগটিতে ব্যাপক সাড়া পড়েছিল। মাত্র ১২ দিনের মধ্যে ১২ লাখ পাউন্ডের তহবিল সংগৃহীত হয়েছিল।
সে উদ্যোগে মধ্যে যিনি সর্বোচ্চ বিনিয়োগ করেছিলেন তিনি স্যার উইলিয়াম ফিপস। তার বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১১ হাজার পাউন্ড।
ব্রিটিশ নৌবহর পুনর্গঠনের কাজে ১২ লাখ পাউন্ড তহবিলের প্রায় অর্ধেক অংশ বিনিয়োগ করা হয়েছিল। বিনিয়োগের বহুগুণ ফিরিয়ে দিয়েছিল রাজকীয় নৌবহর। পুনর্গঠিত শক্তিশালী সে নৌবাহিনীকে ব্যবহার করে পরবর্তী ১০০ বছরের মধ্যে বিশ্বব্যাপী বিশাল উপনিবেশ গড়ে তুলেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, যার মধ্যে অন্যতম ছিল ভারতবর্ষ। চার বছর পর ১৬৯৪ সালের ২৭ জুলাই সে বিনিয়োগ সংস্থাটি রয়েল চার্টারের মাধ্যমে ‘ব্যাংক অব ইংল্যান্ড’ হিসেবে রূপান্তর হয়েছিল বাণিজ্যিক কর্মকা- পরিচালনা করার জন্য। যদিও সূচনায় পুঁজির জোগান দেয়া ছাড়া স্যার উইলিয়াম ফিপস ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের পরিচালনার সঙ্গে কোনোভাবে জড়িত ছিলেন না, কিন্তু প্রাথমিক পর্বের বৃহত্তম বিনিয়োগকারী হিসেবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের প্রতিষ্ঠার ইতিহাসে তার নামটা পাকাপাকিভাবে থেকে গেছে। ( সংকলিত)
তথ্যসূত্র: ১.The New England Knight: Sir William Phips (1651–1695) – Emerson W. Baker
2. The Treasure Expedition of Captain William Phips to the Bahama Banks – Cyrus H. Karraker
3. Nuestra Señora de la Concepción (1641) – Ricardo Borrero and Filipe Castro
4. How Stolen Treasure Kick-started the Bank of England – Martin Parker
লেখক: হারুন রশীদ: প্রাচীন সভ্যতা ও ইতিহাস অনুসন্ধানী লেখক




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com