রাজধানী পুরান ঢাকায় বর্ণিল আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিন। আজ (সোমবার) পুরান ঢাকার গির্জাগুলো ঘুরে জাঁকজমকপূর্ণ এ আয়োজন দেখা যায়।
বড়দিন উপলক্ষে পুরান ঢাকার বিখ্যাত চারটি গির্জা ঘুরে দেখা যায়, লক্ষীবাজারের হলিক্রস গির্জা, সদরঘাট ব্যাপ্টিষ্ট চার্চ, আরমানিটোলার আর্মেনিয়ান গির্জা ও শাঁখারি বাজারের সেন্ট থমাস চার্চ সমূহ বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিটি গির্জায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বাহারি রঙের আলোকসজ্জা।
গির্জাগুলোতে ভিড় করেছে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী ছোট-বড় সব ধরনের মানুষ। এ-সময় তাদের একে অপরের সঙ্গে কেক কেটে আনন্দ ভাগাভাগি সহ নিজেদের ছবি তুলতে দেখা যায়। এছাড়াও গতকাল রাতেই সবাই মিলে বড়দিনের প্রার্থনা শেষ করেছেন বলে জানান।
এদিকে প্রতিটি গির্জায় বড়দিন উপলক্ষে প্রদর্শন করা হচ্ছে সদ্যজাত যীশু, যীশুর মা মারিয়া ও পূর্ণবয়স্ক যীশুর মূর্তি। খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারীরা সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সিলিয়া ডি:রোজারীও বলেন, ‘বড়দিন এর জন্য আমরা ৪ সপ্তাহ ধরে নিজেদের প্রস্তুত করি। নিজেদের মধ্যকার বিবাদ, আবিদ্বেষ ভুলে এই দিন আমরা একে অপরের সাথে মিলিত হই এবং নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করি। এই দিন স্যান্টা ক্লস বাচ্চাদের উপহার দেয়। বাসায় বাসায় কেক কেটে বিভিন্ন ধরনের পিঠা বানিয়ে গোয়াল ঘর সাজিয়ে বড়দিন উৎযাপনে মেতে উঠে সবাই।’
হলিক্রস গির্জার চার্চ ফাদার ডনেল ক্রুস বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতা ভাতৃত্বের বন্ধনে সবাইকে একত্রিত করার মাধ্যমে গরিব দুঃখী সবার পাশে দাঁড়াতে হবে। এমন মূল বিষয়কে সামনে রেখে আমরা বড়দিনটি উদযাপন করছি।’
উল্লেখ্য, খ্রিস্টান ধর্মের প্রবর্তক যীশু খ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে প্রতিবছর ২৫ ডিসেম্বর সারাবিশ্বে পালিত হয় খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন বা ক্রিসমাস ডে। এই দিনটিই যিশুর প্রকৃত জন্মদিন কিনা তা জানা যায় না। তবে, আদিযুগীয় খ্রিস্টানদের বিশ্বাস অনুসারে, এই তারিখের ঠিক নয় মাস পূর্বে মেরির গর্ভে প্রবেশ করেন যীশু। সম্ভবত, এই হিসাব অনুসারেই ২৫ ডিসেম্বর তারিখটিকে যিশুর জন্ম তারিখ ধরা হয়।