রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪, ০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন

ভাতের চাহিদা কমেছে, বেড়েছে সবজি-ফলমূলের

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

বর্তমানে প্রতিনিয়তেই খাদ্য গ্রহণে বৈচিত্র্য দেখা গেছে। বর্তমানে ভাত খাওয়ার পরিমাণ কমছে, বেড়েছে সবজি ও ফলমূল খাওয়ার প্রবণতা। একই সঙ্গে রুটি, ডিম ও দুধ খাওয়ার পরিমাণও বেড়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) খানা আয়-ব্যয় জরিপ-২০২২ এর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএস সন্মেলনকক্ষে ‘হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেন্ডিচার সার্ভে (এইচআইইএস) ২০২২’ এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশে এ তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এ সময় তিনি ভিডিও বার্তায় বক্তব্য দেন। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন বেসরকারি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ব্র্যাকের চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন এনডিসি, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. মো. কাউছার আহমেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিবিএস মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এবং মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক মহিউদ্দিন আহমেদ।
২০২২ সালে চালের দৈনিক মাথাপিছু গড় ভোগের পরিমাণ ৩২৮ দশমিক ৯ গ্রাম। যা ২০১৬ সালে ৩৬৭ দশমিক ২ গ্রাম, ২০১০ সালে ৪১৬ গ্রাম, ২০০৫ সালে ৪৩৯ দশমিক ৬ গ্রাম এবং ২০০০ সালে ৪৫৮ দশমিক ৫ গ্রাম ছিল। অন্যদিকে, সবজি ও মাংসের ব্যবহার ধীরে ধীরে বেড়েছে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বর্তমানে একজন মানুষ দৈনিক ৩২৮ দশমিক ৮ গ্রাম ভাত খাচ্ছেন, ২০১৬ সালে এর পরিমাণ ছিল ৩৮৬ দশমিক ১ গ্রাম। বর্তমানে দৈনিক সবজি গ্রহণের পরিমাণ ২০১ দশমিক ৯ গ্রাম, ২০১৬ সালে এর পরিমাণ ছিল ১৬৭ দশমিক ৩ গ্রাম। বর্তমানে একজন দৈনিক ৯৫ গ্রাম ফল খাচ্ছেন, ২০১৬ সালে এর পরিমাণ ছিল ৩৫ দশমিক ৮ গ্রাম। এছাড়া মাংস, মাছ, ডিম, দুধ, আলু, চিনি ও ডালের চাহিদা বেড়েছে।
শহর এলাকার তুলনায় পল্লী এলাকায় মধ্যম বা মারাত্মক খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা: ঐওঊঝ ২০২২ এর তথ্য অনুযায়ী জাতীয় পর্যায়ে ২১ দশমিক ১১ শতাংশ ব্যক্তি মাঝারি বা মারাত্বক খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ছিলেন। যেখানে ২০২২ সালে পল্লি এলাকায় এ হার ছিল ২২ দশমিক ৩৬ শতাংশ এবং শহর এলাকায় ১৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ। দেশে ২০২২ সালে ১ দশমিক ১৩ শতাংশ মানুষ মারাত্বক খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে ছিলেন।
খানার মাসিক ব্যয় বৃদ্ধি: জরিপে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী খানার মাসিক আয় বৃদ্ধির সঙ্গে সাথে সাথে মাসিক ব্যয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ সালের তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী খানার মাসিক ব্যয় ৩১ হাজার ৫০০ টাকা। ২০১৬ সালে যা ছিল ১৫ হাজার ৭১৫ টাকা।
সময়ের পরিক্রমায় ভোগ ব্যয়ের ধরন পরিবর্তন: খানায় খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত ব্যয়ের ধারায় পরিবর্তন হয়েছে। খাদ্য বহির্ভূত ব্যয় ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। ২০২২ সালে খাদ্য ব্যয়ের শতকরা হার ৪৫ দশমিক ৮ শতাংশ এবং খাদ্য বহির্ভূত ব্যয় ৫৪ দশমিক ২ শতাংশ। যেখানে ২০১৬ সালে খাদ্যের জন্য ব্যয় ছিল ৪৭ দশমিক ৭ শতাংশ এবং খাদ্য বহির্ভূত ব্যয় ছিল ৫২ দশমিক ৩ শতাংশ।
প্রোটিন গ্রহণের গড় পরিমাণ বৃদ্ধি: ২০২২ সালের তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী দৈনিক মাথাপিছু প্রোটিন গ্রহণের পরিমাণ ৭২ দশমিক ৫ গ্রাম, যা ২০১৬ সালে ৬৩ দশমিক ৮ গ্রাম, ২০১০ সালে ৬৬.২৬ গ্রাম, ২০০৫ সালে ৬২.৫২ গ্রাম ও ২০০০ সালে ৬২.৫০ গ্রাম।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com