দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ আসনে হাতঘড়ি প্রতীকের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলম এবং তার পক্ষের অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনী কর্তৃক নির্বাচন কমিশনে ‘ভিত্তিহীন অভিযোগ, মিথ্যা প্রচারণা, হামলা ও হত্যার হুমকির’ প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চকরিয়া এবং পেকুয়ার জনপ্রতিনিধিরা। বুধবার বিকাল ৫টায় চকরিয়ার একটি হোটেলে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুরাজপুর মানিকপুর ইউপির চেয়ারম্যান আজিমুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদী, পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ও চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব আলমগীর চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী বলেন, আগামী ৭জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করা বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতিকে একটি নিরপেক্ষ অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উপহার দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ ও দৃঢপ্রতিজ্ঞ। আমরা সেই লক্ষ্যে নিজ নিজ এলাকায় আমাদের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনি কাজ করে যাচ্ছি। একই সঙ্গে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোটারকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাতে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি।
যা পরোক্ষভাবে নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যের সহায়ক। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলম আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ট্রাক গাড়ি প্রতীকে নির্বাচন করছেন। তার পক্ষে কাজ না করায় এবং বিপক্ষের হাতঘড়ি মার্কার প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনি কাজে অংশগ্রহণ করায় তিনি নিজে এবং তার গঠিত নিজস্ব অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনী দ্বারা অবৈধ অস্ত্রের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে গুম ও হত্যার হুমকি প্রদান করে যাচ্ছেন। এছাড়াও তার উচ্ছৃঙ্খল কর্মী বাহিনী দ্বারা হাতঘড়ি প্রতীকের নির্বাচনি পোস্টার, ব্যানার, লিফলেট ও পেস্টুন ছিড়ে ফেলা হচ্ছে। এমনকি ব্যানার, পোস্টার, পেস্টুন লাগাতেও বাধা প্রদান করা হচ্ছে। যা সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ ধরনের হুমকি প্রদর্শন, চাপ প্রয়োগ এবং নির্বাচনি সরঞ্জাম ছিড়ে ফেলা ও লাগাতে বাধা প্রদানের মতো অপতৎপরতা একটি অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে বড় অন্তরায় এবং আমরা জনপ্রতিনিধিরাও চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এমন ভীতিকর পরিস্থিতি ও নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে জনমনের সংশয় দূর করতে কক্সবাজার-১ চকরিয়া-পেকুয়া আসনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে জনগণ এবং জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তা বিধান ও হয়রানি রোধে নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনুরোধ জানান জনপ্রতিনিধিরা। এ সময় কক্সবাজার জেলা পরিষদ সদস্য আবু তৈয়ব, পেকুয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম মিনু, মগনামার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইউনুস, বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম জাহাঙ্গীর আলম, রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বাবুল, বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরে হোছাইন আরিফ, লক্ষ্যারচরের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওরাঙ্গজেব বুলেট, কাকারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন, বমু বিলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনজুরুল কাদের, ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঈনুদ্দিন চৌধুরী, উজানটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, চিরিংগার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন প্রমুখ জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।