ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে রাখাইনে একটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার দাবি করেছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মি (এএ)। দেশটির বিভিন্ন স্থানে বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামরিক জান্তার সেনাবাহিনী হেরে যাচ্ছে। অনেক প্রদেশে অনেক শহর বিদ্রোহীরা দখলে নিয়েছে। কিছুদিন যাবত এমন খবর আসছে মিডিয়ায়। কিন্তু বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তের কাছে রাখাইন রাজ্যে এ শহরটি দখলের খবর সর্বশেষ। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়, বিভিন্ন ফ্রন্ট থেকে বিদ্রোহের মুখে পড়েছে মিয়ানমার। সামরিক জান্তা বিরোধী গ্রুপগুলো গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। তাদের সহায়তায় বিদ্রোহী গ্রুপগুলো অনেক সামরিক চৌকি এবং শহর নিজেদের দখলে নিয়েছে। সেখানে প্রতিষ্ঠা করেছে সমান্তরাল সরকার। ২০২১ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা কেড়ে নেন জেনারেল মিন অং হ্লাইং।
তারপর থেকেই তাকে চরম বিরোধিতার মুখে পড়তে হয়েছে। কিন্তু বিদ্রোহীরা সাম্প্রতিক সময়ে যে চ্যালেঞ্জ তাকে ছুড়ে দিয়েছে, তা হয়তো তিনি কল্পনাও করতে পারেননি। একে বলা হচ্ছে সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ। আরাকান আর্মির একজন মুখপাত্র রোববার বলেছেন, তারা কালাদান নদীর তীরে অবস্থিত একটি বন্দরনগরী পালেতোয়া দখল করেছেন। এটি হলো প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর ও বন্দর। আরাকান আর্মির মুখপাত্র খিন থু খা এক বিবৃতিতে বলেন, সীমান্তে স্থিতিশীলতার ইস্যুতে আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোকে সর্বোত্তম সহযোগিতা করবো। তিনি আরও জানান, সেখানকার প্রশাসনিক ও আইন প্রয়োগের স্থানগুলোও তাদের নিয়ন্ত্রণে নেবেন তারা।
এ বিষয়ে সামরিক জান্তার তরফ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। এর আগে চীন সীমান্তের কাছে শান প্রদেশে লাউক্কাই শহর দখল করে থ্রি ব্রাদারহুড এলায়েন্স নামে আরেকটি বিরোধী গ্রুপ। এই সীমান্তে যারা নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তাদের সঙ্গে গত সপ্তাহে যুদ্ধবিরতিতে একমত হয়েছে জান্তা সরকার। এ বিষয়ে চীনের কুনমিং শহরে আলোচনা হয়েছে। তাতে উপস্থিত ছিলেন চীনা কর্মকর্তারাও। রোববার বিদ্রোহীদের ওই জোট বলেছে, সামরিক জান্তার বাহিনী যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। তারা শান রাজ্যে বিভিন্ন শহরে আক্রমণ চালিয়েছে।