শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৮:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
বগুড়া শেরপুরে আগুনে পুড়লো পঁচিশ বিঘা জমির ভুট্টা ইসলামাবাদে ভোট কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগে মানববন্ধন বীর মুক্তিযোদ্ধার নির্মাণাধীন দোকানে সন্ত্রাসী হামলা বাগেরহাট নানান আয়োজনে মে দিবস পালিত ভালুকা বিশেষায়িত পেঁয়াজ প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন বরিশালে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন কুড়িগ্রামের উলিপুরে ভুট্টা মাড়াইয়ে ব্যস্ত কৃষকেরা, দ্বিগুণ লাভের আশা নগরকান্দায় অগ্নিকান্ডে চারটি দোকান ঘর ভস্মীভূত দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি না হলে গণতন্ত্রের মুক্তি হবে না-কেন্দ্রীয় বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সরোয়ার গলাচিপায় পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা ও জাতীয় স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস পালিত

মিয়ানমার: রাখাইনের গুরুত্বপূর্ণ বন্দরনগরী সেনাদের কাছ থেকে কেড়ে নেয়ার দাবি আরাকান আর্মির

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৪

কমপক্ষে দুই মাস তীব্র লড়াইয়ের পর বন্দরনগরী পাউকতোয়া পুরোপুরি নিজেদের দখলে নেয়ার দাবি করেছে মিয়ানমারের জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। তারা ২৪শে জানুয়ারি শেষের দিকে জানিয়েছে এই বন্দর নগরী তাদের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এখন। এটি ২০ হাজার মানুষের একটি শহর। পশ্চিমা লীয় রাজ্য রাখাইনের রাজধানী সিতওয়ের গুরুত্বপূর্ণ গভীর সমুদ্র বন্দরের খুবই কাছে এই শহর। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর বিদ্রোহীদের দাপটে সেখানে এক পর্যায়ে একটি ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি হয়। কিন্তু সেই চুক্তি ভঙ্গ করে গত নভেম্বরে পাউকতোয়া স্বল্প সময়ের জন্য দখল করে আরাকান আর্মি। তখন থেকেই এই বন্দরনগরীতে নিয়মিতভাবে স্থল হামলা এবং নৌবাহিনীর জাহাজ ব্যবহার করে বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছিল সামরিক জান্তা। একই সঙ্গে হেলিকপ্টার ব্যবহার করে গুলি করতো। পাউকতোয়ার নতুন কিছু ছবি পাওয়া গেছে গুগল আর্থে। তাতে দেখা যায়, এই শহরের বাইরের দিকে একটি ‘ব্লক’ বা অবরোধ ছিল।
তার প্রায় পুরোটাই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। বন্দরের কাছে ধ্বংস হয়েছে বেশ কয়েকটি ভবন। পুলিশ স্টেশনেও বেশ কয়েকটি ভবন ধ্বংস হয়েছে। এ সপ্তাহের শুরুর দিকে আরাকান আর্মির ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলেছেন, শহরে তাদের যোদ্ধারা ক্লিয়ারেন্স অপারেশন চালাচ্ছেন। ২৩শে জানুয়ারি আরাকান আর্মি দাবি করে যে, ওই শহরে তীব্র লড়াই চলছে। এসব সংঘর্ষ, যুদ্ধ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি সামরিক জান্তা। নভেম্বরে জাতিসংঘ জানায়, যুদ্ধের কারণে ওই এলাকায় বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ১৮ হাজার মানুষ।
রাজ্যটির রাজধানী সিতওয়ে থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার পূর্বদিকে এই পাউকতোয়া শহর। সেখানে যে গভীর সমুদ্র বন্দর আছে, তাতে কিছু অর্থায়ন করেছে ভারত। কারণ দেশটি মিয়ানমারের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর করতে চেয়েছে। এ সপ্তাহের শুরুর দিকে মিয়ানমারের চেম্বারস অব কমার্স ভারতীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের একটি দলের সঙ্গে সিতওয়ের এই বন্দরকে আরও আধুনিকায়ন করা নিয়ে আলোচনা করেছে। সামরিক জান্তা সমর্থিত মিডিয়ায় ২৫শে জানুয়ারি রিপোর্টে এ কথা জানানো হয়েছে।
২৫শে জানুয়ারি পাউকতোয়ার একজন বাসিন্দা বলেছেন, সিতওয়ে এবং পাউকতোয়ার মধ্যে চলাচল সামরিক বাহিনীর গেট এবং চেকপয়েন্ট বসিয়ে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল। ২৪শে জানুয়ারি আরাকান আর্মি বিবৃতিতে বলেছে, মরাউক-ইউ, মিনবাইয়া, কাউকতোয়া এবং রাথেডাং শহরে সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাদের তীব্র লড়াই চলছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি তারা।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com