অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বৈঠক করেছেন। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আমাদের বহুদিনের সম্পর্ক। আমরা সাহায্য চাই, আবার ইউকেও চায় হেল্প করতে। যেহেতু তারা দীর্ঘদিন আমাদের সঙ্গে কাজ করছে, তারাও বাংলাদেশের অবস্থা বোঝে। তাদের এ ব্যাপারে অভিজ্ঞতাও আছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। অনেক রকম আইডিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
অর্থনৈতিক কোন কোন ক্ষেত্রে সহযোগিতা পাওয়া যাবে– এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, তারা আমাদের সহায়তা করতে চায়। কোন কোন খাতে সেটি এখন বলা যাবে না। সেগুলো নিয়ে এখন আলোচনা চলছে।
আপনারা কোনও সহযোগিতা চেয়েছেন কিনা– জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, হ্যা নিশ্চয়ই। এখন সেটি নির্ভর করে তারা কীভাবে আমাদের সহযোগিতা করতে চায়। আমি বলেছি, তোমরা তো এখানে বহুদিন ধরে আছো। আমাদের সঙ্গে একটা সম্পর্ক আছে। সুতরাং তোমরা দেখো কীভাবে কী অফার করতে পারো।
বাংলাদেশ একটি অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে, সেক্ষেত্রে কোনও সহযোগিতা চেয়েছেন কিনা– এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হ্যাঁ সেটাই তো। সাহায্য চাই। ওরা বলেছে ওরা দেখছে কী করা যায়, ওরা কীভাবে সহায়তা করতে পারে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যুক্তরাজ্য কীভাবে সহযোগিতা করবে– এমন প্রশ্নের জবাবে ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, আমরা খুব ভালো একটি আলোচনা করেছি। আমরা আলোচনা করেছি যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ কীভাবে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করতে পারে। আমরা সমর্থন করেছি সাসটেইনেবল বাংলাদেশ গড়তে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সফলভাবে উন্নয়নশীল দেশের গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছে। সেক্ষেত্রে আমরা তাদের পাশে ছিলাম। কারণ আমরা উন্নয়নশীল দেশ গঠনে সবসময়ই তাদের সঙ্গে আছি।