জামালপুর পৌরসভার হরিপুর দরি ফতেপুর নয়াপাড়া এলাকার শামছুল হক(৬০) নামে একজন বৃদ্ধাকে তার বসতভিটা থেকে উচ্ছেদের চেষ্টায় সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। সোমবার দুপুরে জামালপুর শহরের জজ কোর্ট চত্তরের সামনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ভোক্তভোগি শামছুল হক ও তার পরিবার। লিখিত বক্তব্যে শামছুল হক বলেন,আমার পিতা মৃত হোসেন আলী, এলাকার মোঃ আব্দুল জব্বার তার মাতা জামিরুন নেছা বিবি’র নিকট থেকে ১৯৪৫ সালে ৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে নেন। পরে অন্যত্র থেকে আরও ৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে নেন তিনি।পরে তিনি সেই জমি থেকে ৩ শতাংশ জমি বিক্রি করে দেন। বাকী ৯ শতাংশ জমি তিনি বসতবাড়ি করে দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করে আসছিলেন।
তিনি বলেন,আগের কওলা কৃত জমি খানি ভুলে অভিযুক্ত আব্দুল জব্বার গংদের মায়ের নামে বিআরএস রেকর্ড হওয়ায় তারা সমস্যা সৃষ্টি করছে। এ ঘটনায় স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফজলুল হক আকন্দ বিষয়টি মিমাংসার কথা বলে টাকা নেয়। পরে তিনি আরও এক লক্ষ টাকা দাবি করে। দাবি কৃত টাকা না দিলে অভিযুক্ত আব্দুর জব্বারকে দিয়ে তাদের বাড়ি দখল করবে বলে হুমকী দেন। এ ব্যাপারে জামালপুরের জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছে শামছুল হক। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কাউন্সিলর ফজলুল হক আকন্দ টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে শামছুল হকের নাতী মোঃ শাকিব বলেন, ৬ শতাংশ জমি আব্দুল জব্বারের মাতা জামিরন নেছার নামে বিআরএস রেকর্ডভুক্ত হওয়ার মুলে দাবি করে আমাদের বসত বাড়ি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা করছে তারা। তিনি বলেন, এই জমি আমরা রেকর্ড সংশোধনের জন্য আদালতে মামলা দিয়েছে।আদালতের নোটিশ পেয়ে আব্দুল জব্বার গংরা আরও ক্ষিপ্ত হয়। শাকিব বলেন,এর ৮ মাস আগে আব্দুল জবাবার গংরা আমাদের পরিবারকে বাড়িত থেকে উচ্ছেদ করে দিলে থানা পুলিশের সহযোগিতায় বাড়িতে স্থান পাই আমরা। এখন আমরা আব্দুর জব্বার গংদের অত্যচারে অতিষ্ঠ জীবন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ ব্যাপারে জামালপুরের জেলা প্রশাসক মো.শফিউর রহমান বলেন, অভিযোগটি আমার কাছে আসলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।