সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৬ অপরাহ্ন

ওপেনিং দ্য বেঙ্গলি মুসলিম মাইন্ড শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ইসলামিক থট (বিআইআইটি) কর্তৃক আয়োজিত ওপেনিং দ্য বেঙ্গলি মুসলিম মাইন্ড শীর্ষক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বিআইআইটি’র কনফারেন্স হলে এই বক্তৃতা প্রদান করেন দেশের প্রথিতযশা চিন্তাবিদ, পণ্তিত, লেখক ও গণবুদ্ধিজীবী অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান।

ড. সলিমুল্লাহ খান বলেন, বাঙালি হচ্ছে ভাষা ও এলাকার পরিচয়, মুসলমান হচ্ছে বিশ্বাস ও মূল্যবোধের পরিচয়। মানুষ যা শোনে, যা করে- তাই তার মনের পরিচয়। অনেকেরই যুক্তির চেয়ে আবেগের ভাবটা বেশি, মনের মধ্যে কাঁচা ভাব, অপরিপক্কতা ভাব প্রবল। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হবে সত্যের সাধনা।
তিনি বলেন, গোত্রীয় জীবনের ঐতিহ্যকে ইসলামের ভেতরে ঢুকায়ে চালালে তা ভয়াবহ হবে। হিন্দুর বর্ণপ্রথা থেকেই সাম্প্রদায়িকতার উৎপত্তি হয়েছে। বর্ণাশ্রম প্রথা থেকেই দুর্ভাগ্যের শিকার, আর সেই দুর্দশা থেকে মুক্তির জন্যই ধর্মান্তর হয়েছে। রাজার ধর্ম সম্পত্তির জন্য গ্রহণ করেনি। শাসক শ্রেণির সহায়তা নেয়া বা পাওয়া যে তিমিরে ছিল আজও সেই তিমিরেই রয়ে গেছে, শাসকদের অবহেলার শিকার হচ্ছে।
ড. খান আরো বলেন, বাঙালি মুসলমানের উর্দুপ্রীতি এবং ইংরেজি প্রীতির মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। আগে ইংরেজি শিক্ষা মুসলমানদের নেতৃত্বের কাছেও অবজ্ঞার শিকার হতো, এখন বাংলাও অবজ্ঞার শিকার হচ্ছে। ইসলামে ব্যাপকভাবে ধর্মান্তরিত হওয়ার আগের সামাজিক অবস্থায় সাধারণভাবে শিল্প, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিতে তৎকালিন বাঙালি মুসলমানদের অনুন্নয়ন স্পষ্ট পরিলক্ষিত হয়। প্রারম্ভিক আধুনিক যুগে বিপুল সংখ্যায় ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়া সত্ত্বেও, একের পর এক মুসলিম রাজবংশের অধীনে জনগণের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা কোনো বৈপ্লবিক উন্নতি ঘটেনি।
তিনি আরো বলেন, আগে বাংলাভাষী মুসলমানরা সাধারণত ছিল কৃষিবিদ, তাঁতি ও অন্যান্য শ্রমিক শ্রেণী। বাঙালি মুসলিমদের দুর্ভাগ্য ইউরোপীয় উপনিবেশের সাথে উদ্ভূত হয়নি। ইংরেজ ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনে সেই সময়ের হিন্দু অভিজাতরা নতুন মধ্যস্থতাকারীতে পরিণত হওয়ায় বাঙালি মুসলমানরা সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছিল। তাছাড়া বাঙালি মুসলমানের দুর্ভাগ্যের উৎস বাঙালি মুসলমানের দোষও।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পিএসটিইউ) সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. আব্দুল লতিফ মাসুম। উদ্বোধনী বক্তব্য দেন বিআইআইটি’র মহাপরিচালক ড. এম আবদুল আজিজ। বিভিন্ন পেশাজীবী, তরুণ চিন্তক, লেখক, গবেষক ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীবৃন্দসহ শতাধিক অংশগ্রহণকারী যুক্ত ছিলেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com