আসন্ন রমজান মাস কে সামনে রেখে লালমি এবং বাঙ্গি উৎপাদনের লক্ষে ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন সদরপুর উপজেলার বাঙ্গি এবং লালমি আবাদিরা। আসন্ন রমজান মাসকে ঘিরে অনেক আসা নিয়ে লালমি ও বাঙ্গি চাষিরা লালমি আবাদ করেছেন। বর্তমানে খেতের পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা। ইতি মধ্যেই গাছের ফল অনেক বড় হয়ে গেছে। রমজান মাসের প্রথম দিন থেকেই বিক্রি শুরু হবে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মহাজনরা পাইকারি লালমি কিনে নিয়ে যায় ঢাকা সহ বিভিন্ন এলাকায়। প্রতিবছর পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দিন থেকেই ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় লালমি ও বাঙ্গি উৎপাদনে ব্যস্ত হয়ে পরেন স্থানীয় কৃষকরা। তারই ধারাবাহিকতায় এবার আরো বেসি জমিতে বাঙ্গি ও লালমির আবাদ করেছেন চাষিরা। স্থানীয় কয়েকজন কৃষক জানান, অনুকুল আবহাওয়া, সময়মত বিজ্ব বপন, সঠিক মাত্রায় সার এবং কীটনাশক প্রয়োগ করার কারনে এবার উৎপাদন ভালো হবে বলে জানান তারা। তবে গাছে মুছি (ফল) আসার পরে শিতের কারনে মুছি সুকিয়ে যাওয়ার কারনে ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয় কৃষকদের। তাছারা বালিয়া পোকা, সাদা মাছির আক্রমন ঠেকাতে সময় মত কীটনাশক ব্যবহার না করলে ফলন ভালো হয়না বলে জানান বাদশা নামক স্থানীয় কৃষক। প্রতি বিঘা জমিতে লালমি চাষে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরজ হয় বলেও জানান তিনি। শৌলডুবী গ্রামের লালমি আবাদি বাচ্চু মুন্সি জানান, সরকারি ভাবে যদি আমাদের প্রতি সু-দৃষ্টি দেওয়া হতো তবে সদরপুরে আরো অনেক বেসি পরিমানে লালমি উৎপাদন করা যেত। এ ব্যাপারে সদরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিটুল রায় বলেন, চলতি মৌসুমে সদরপুর উপজেলায় মোট ৩২৭ হেক্টর জমিতে লালমি আবাদ করা হয়েছে। সরকারি ভাবে লালমি আবাদিদের আর্থিক সহযোগিতা বা প্রনোদনার ব্যবস্থা না থাকলেও কৃষকদের সকল প্রকার পরামর্শ ও বিভিন্ন প্রকার দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়। এছাড়াও কৃষকরা যাতে করে তাদের উৎপাদিত লালমি বেসি দামে বিক্রি করতে যাতে কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি না হয় সেদিকেও আমরা দৃষ্টি রাখবো বলে জানান তিনি। উল্লেখ্য প্রতি রমজান মাসে সদরপুর উপজেলার হাট কৃষ্ণপুর, ইউছুপ বেপারীর হাট, মজুন্দার বাজার, কাটাখালি, যাত্রাবাড়ি, বাধানো ঘাট, মটুকচর, শ্যামপুর, নয়াচর, সদরপুর সহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রচুর পরিমান বাঙ্গী ও লালমির হাট বসে।
পাইকাররা প্রতিদিন লালমি কিনে ঢাকা সহ বিভিন্ন এলাকার আড়তে নিয়ে যায়। অনেক আগে থেকেই ফরিদপুর জেলার সদরপুরে উন্নত মানের বাঙ্গী ও লালমি উৎপাদনে সুনাম অর্জন করে আসছে। স্থানীয় কৃষকরা প্রতি রমজান মাস আসার আগেই বিপুল আশা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে লালমি উৎপাদনে ব্যস্থ হয়ে পরেন।