জেলায় চলতি মৌসুমে লিচু গাছে মুকুলে মুকুলে ভরে গেছে। এবারের লিচু গাছের মুখরিত ও তাক লাগানো মুকুলের দিকে তাকালে মনে করা যেতেই পারে যে এবার চলতি মৌসুমে লিচুর বাম্পার ফলন হবে। লিচু গাছের মুকুলের ঘ্রাণে মেতে উঠেছে মৌমাছির গুঞ্জন ।
এবারে গাছের এত মুকুল দেখে বাগান মালিকরা খুশি। তারা আশা করছে লিচুর ফলনে বাগান মালিকরা লাভবান হবে। এখন পর্যন্ত প্রাকৃতিক কোন ধরনের সমস্যা মুকুলের উপর কোন খারাব প্রভাব ফেলেনি। সামনের দিনগুলোতে যতি প্রকৃতি সহায় থাকে তাহলে লিচুর বাম্পার ফলনের পাশাপশি ভাল মুনাফা করতে পারবে এর সাথে সংশ্লিষ্ঠরা। লিচু রসালো ফল। সব বয়সের জন্য এ পুষ্ঠিকর ফল খুবই প্রিয়। লিচু বাগান মালিক আক্তার মাস্টার জানান তার ৬ বিঘা জমিতে রয়েছে লিচু বাগান। গাছ রয়েছে ২০০টি। গতবছর সব গাছে লিচু ধরেনি ,তাতেও দেড় লাক্ষ টাকার লিচু বিক্রি করেছে। এবারে তার সব গাছে ধরেছে মুকুল, লিচু বিক্রি করা পর্যন্ত আবহাওয়া অনুক’লে থাকলে তিনি এবার ৩/৪ লাক্ষ টাকার লিচু বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন। একই ধরনের প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেছেন অপর লিচু বাগান মালিক আব্দুল মালেক। তারও রয়েছে ১২ বিঘা জমিতে লিচু ও আম বাগান।
জেলা কৃষি বিভাগের জরিপসূত্রে জানা যায়, প গড়ে দুই হাজার হেক্টর জমিতে লিচুর বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ হচ্ছে। লিচু গাছের সংখ্যা দুই লাক্ষ। এর মধ্যে দেড় লাক্ষ লিচু গাছের বয়স ১৫ বছরের বেশি। এছাড়াও জেলার ৪৩টি ইউনিয়নের গ্রামা লের বসতবাড়ি এবং আশপাশে রয়েছে বিপুল সংখ্যক লিচু গাছ। লিচু চাষ লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছরই প গড়ে বাগানের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। হেক্টর প্রতি লিচুর ফলন ৫২৫ টন ধরা হয়েছে। জেলায় ৫ জাতের লিচু চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে দেশী জাত, চায়না ২,৩,৪ এবং বোম্বে । চায়না ২,৩,৪ বাজারে চাহিদা ভাল থাকে। গত বছর চায়না ৩ জাতের লিচুর শ,ছিল ৪শ থেকে ৫শ টাকা।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক নাইমুল হুদা বাসসকে জানান, এ মহুর্ত্তে কৃষকদের লিচু বাগানে সুষম সার প্রয়োগের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে, পাশাপশি কৃষি বিভাগ প্রযুক্তিগত সহযোগিতাও দিচ্ছে।