ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের প্রাচ্যকলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান ফকির বলেন,জীবন সুন্দর করার অন্যতম অনুষঙ্গ চারুকলা। এ শিল্পের অন্যতম প্রভাবশালী শাখা আল কুরআনিক ক্যালিগ্রাফি। বাংলাদেশ চারুশিল্প পরিষদ এ শিল্প বিভাগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। প্রাচ্যকলার অন্যান্য শাখার চারুশিল্প বিকাশে তাদের কার্যক্রম প্রশংসারযোগ্য। বিশেষ করে তরুণদের মাঝে তাদের তৎপরতা বাংলাদেশকে চারুশিল্পে পৃথিবীর নেতৃত্বের আসনে বসাবে আমার বিশ্বাস। তবে এজন্য অবশ্যই অধ্যবসায় ও অনুশীল আরো বাড়তে হবে। তিনি গত সোমবার রাজধানীর একটি অভিজাত্য রেস্তোরায় বাংলাদেশ চারুশিল্পী পরিষদ আয়োজিত ইফতার মাহফিল ও আলোচনাসভায় প্রধানঅতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেছেন।
বাংলাদেশ চারুশিল্পী পরিষদের সভাপতি শিল্পী ইব্রাহীম মণ্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ চারুশিল্পী পরিষদের উপদেষ্টা কবি ও গীতিকার ড. আবু জাফর মুহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ। উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সেক্রেটারি ক্যালিগ্রাফার আবদুর রহিম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কথাসাহিত্যিক ও সিনিয়র সাংবাদিক হারুন ইবনে শাহাদাত, কাটুর্নিস্ট আসিফুল হুদা, চারুশিল্প পরিষদের উপদেষ্টা জাকি উল হক জাকি, মাহবুব মুকুল। এছাড়াও শিল্পীদের মধ্যে থেকে বক্তব্য রাখেন মাহবুব মোর্শেদ,ড. সাইফুল্লাহ সাফা,মোল্লা হানিফ উসামা হক প্রমুখ।
ড. আবু জাফর মুহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ বলেন, শিল্পের সব শাখায় আমাদের কাজ ছড়িয়ে দিতে হবে। তরুণ সমাজের মধ্যে শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতির চর্চা বাড়ালে সমাজ সুন্দর হবে। দেশ হবে সমৃদ্ধ। দুর্নীতি, মাদকের বিস্তার, খুন সন্ত্রাসসহ সব অপরাধ নির্মূল হবে।
হারুন ইবনে শাহাদাত বলেন, জীবনের জন্য শিল্প, শিল্পের জন্য শিল্প নয় এ স্লোগানে বাংলাদেশ চারুশিল্পী পরিষদের শিল্পীদের এগিয়ে যেতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে শিল্পী ইব্রাহীম মণ্ডল বলেন, সবধরণের সীমাবব্ধতা দূর করে সামনে এগিয়ে গেলে আমরা সফল হবেই ইনশাআল্লাহ। প্রেসবিজ্ঞপ্তি