শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৮:৫৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
বগুড়া শেরপুরে আগুনে পুড়লো পঁচিশ বিঘা জমির ভুট্টা ইসলামাবাদে ভোট কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগে মানববন্ধন বীর মুক্তিযোদ্ধার নির্মাণাধীন দোকানে সন্ত্রাসী হামলা বাগেরহাট নানান আয়োজনে মে দিবস পালিত ভালুকা বিশেষায়িত পেঁয়াজ প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন বরিশালে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন কুড়িগ্রামের উলিপুরে ভুট্টা মাড়াইয়ে ব্যস্ত কৃষকেরা, দ্বিগুণ লাভের আশা নগরকান্দায় অগ্নিকান্ডে চারটি দোকান ঘর ভস্মীভূত দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি না হলে গণতন্ত্রের মুক্তি হবে না-কেন্দ্রীয় বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সরোয়ার গলাচিপায় পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা ও জাতীয় স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস পালিত

বান্দরবানে কম্বিং অপারেশন শুরু

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় রবিবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৪
সংবাদ ব্রিফিংয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ

শান্তি আলোচনার মধ্যে কেএনএফ অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি করেছে উল্লেখ করে সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, কম্বিং অপারেশন শুরু হয়ে গেছে। এটা আমাদের সমন্বিতভাবে চলছে। গতকাল রোববার বান্দরবানে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি। সেনাপ্রধান বলেন, দৃশ্যমান কিছু কার্যক্রম আপনারা দেখতে পাবেন। এর ফল আপনারা সময় মতো পাবেন। আমি আপনাদের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে চাই, আমার কাছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা খুবই পরিস্কার। বাংলাদেশের জনগণের শান্তির জন্য, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য যা করণীয়, প্রধানমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ সেটাই করতে হবে। সেটা বাস্তবায়নে আমরা সক্ষম হবো বলে দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করছি। বান্দরবানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে কয়েকজন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা হয়ত জেনেছেন গতকাল রাতে কিছু সন্ত্রাসীকে ধরতে সক্ষম হয়েছে আমাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। কিছু অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। একটা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, শুরুতে আমরা তাদের (কেএনএফ) বিশ্বাস করেছিলাম যে, শান্তি আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু এর মধ্যে অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এরজন্য পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। ইনশাল্লাহ জনগণের মধ্যে শান্তি ফিরে আসবে। তারা দেখতে পারবে যে সন্ত্রাসীদের কোনো জায়গা বাংলাদেশে নাই। বাংলাদেশ সেনা বাহিনী সম্পূর্ণভাবে সক্ষম এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য।
বান্দরবানে ব্যাংক-অস্ত্রলুট, মসজিদে হামলা ও অপহরণের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেগত শনিবার (৬ এপ্রিল) রাত থেকে যৌথ অভিযান শুরু করা হয়েছে। এরইমধ্যে দুটি অস্ত্র ও কয়েকজন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। গতকাল রোববার (৭ এপ্রিল) সকালে হেলিকপ্টারে বান্দরবান পৌঁছে বান্দরবান ৬৯ সেনা রিজিয়নে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করেন তিনি। এরপর দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
নিরাপত্তার স্বার্থে ঠিক কতজনকে আটক করা হয়েছে তা না জানালেও তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কড়া নির্দেশে গতকাল রাত থেকে কেএনএফ সশস্ত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে কম্বাইন্ড অপারেশন শুরু হয়ে গেছে। এরইমধ্যে দুটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর অভিযান চলবে।
তিনি বলেন, শান্তি কমিটির সঙ্গে কেএনএফের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আলোচনা চলছিল। দুটি মুখোমুখি সংলাপ বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে, তৃতীয় বৈঠকের আগেই তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটালো। বমদের সানডে আয়োজনে ৩১ মার্চ রুমায় বেতেলপাড়াসহ সবগুলো গির্জায় সেনাবাহিনী কেক পাঠিয়েছে, উৎসব আয়োজনে সম্পৃক্ত ছিল। কিন্তু ২ এপ্রিল তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটালো, মনের ভেতরে কী আছে সেটিতো জানা মুশকিল। তবে সরকার তাদের বিশ্বাস করেছিল, কেএনএফ বিশ্বাস রাখেনি।
তিনি আরও বলেন, কম্বাইন্ড অপারেশন এবং গোয়েন্দা কার্যক্রমও চলছে। তাই অপারেশনের সবগুলো দৃশ্যমান নয়। কিছু কার্যক্রম অদৃশ্যে চলবে, যা সাধারণ মানুষ দেখবে না, কিন্তু সুফল ভোগ করবে। এ সময় অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে কেএনএফের তা-বের ঘটনায় রুমা ও থানচিতে আজও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আতঙ্ক কাটেনি দুই উপজেলাবাসীর। এসব তা-বের ঘটনায় মামলার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৮টি। তারমধ্যে রুমায় ৪টি এবং থানচিতে ৪টি। সবগুলো মামলায় আসামি অজ্ঞাত।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন জানান, রুমার ঘটনায় বাদী হয়ে মামলা করেছেন সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা, মসজিদের ইমাম, পুলিশ ও আনসার এবং থানচিতে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা ও দুটির পুলিশ বাদী। তবে এখনো পর্যন্ত মামলায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
তবে রুমা ও থানচি কোথাও নতুন করে কেএনএফের গোলাগুলির খবর পাওয়া যায়নি। হামলা লুটকারীদের ধরতে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে। রুমা-রোয়াংছড়ি, থানচি-আলীকদম সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে চালানো হচ্ছে সাঁড়াশি অভিযান। নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলেও জানান তিনি। এছাড়া ব্যাংক ডাকাতির পর থেকে নিরাপত্তার স্বার্থে রুমা-থানচি ও রোয়াংছড়ির সোনালী-কৃষি ব্যাংকের সকল লেনদেন বন্ধ রয়েছে। এই তিন উপজেলার গ্রাহকরা বান্দরবান সদর শাখায় লেনদেন করতে পারবেন বলে জানিয়েছিলেন সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আফজাল করিম।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com