চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী ব্যক্তিজীবনে সুপারস্টার শাকিব খানের সঙ্গে প্রেম-বিয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে আলোচনা-সমালোচনার শিকার হয়েছেন তিনি। এবার ঈদকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে ব্যক্তিজীবন নিয়ে কথা বলেছেন বুবলী। একইসঙ্গে নায়কের প্রথম স্ত্রী ঢালিউড ক্যুইন অপু বিশ্বাসকে নিয়েও মন্তব্য করেছেন। ফলে শিরোনামে উঠে এসেছেন বুবলী। সম্প্রতি শাকিব খানের প্রথম স্ত্রী অপু বিশ্বাস জানিয়েছেন―তার হাতের মোরগ পোলাও খেতে পছন্দ করেন শাকিব খান। এবার অভিনেতার দ্বিতীয় স্ত্রী ও ছেলে বীরের মা বুবলী জানালেন, তার হাতের কোন খাবার পছন্দ করেন নায়ক। আরও জানালেন, চাইলে এক সপ্তাহের মধ্যে ওজন কমাতে পারেন শাকিব খান। বুবলী জানান, তরকারিতে লবণ কম হওয়ার জন্য স্বামী শাকিব খানের কাছ থেকে কখনো বকা খেতে হয়নি তাকে। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, আমার রান্না খুব পছন্দ করেন। এরপরই তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, তার রান্না কোন খাবারটি প্রিয় নায়কের? জবাবে নায়িকা বলেন, হাঁসের মাংসটা অনেক পছন্দ করেন।
বুবলী আরও বলেন, আমি একটা চিংড়ি ফ্রাই করি, সেটাও পছন্দ করেন। আসলে উনি যখন খান, অনেক খেতে পছন্দ করেন। আবার যখন ডায়েট করেন, তখন একদমই ক্রাস ডায়েটে থাকেন। দেখা যায়, এক সপ্তাহের মধ্যেই ওজন কমাতে পারেন। এছাড়া ইন্ডাস্ট্রিতে গসিপ, ফিটনেস ও বিউটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব কাকে দেবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে বুবলী বলেন, চলার পথে অনেকে বাজেভাবে আক্রমণ করতে চায়। বাধা পাই। যাদের সঙ্গে কখনো সমস্যা হয়নি, তারাও দেখি কথা বলে। এ ক্ষেত্রে আমার কাছে মনে হয়, নেতিবাচকতার বদলে কখনো নেতিবাচকতা ছড়াতে চাই না। আমি ইতিবাচকতা ছড়াতে চাই।
এ নায়িকা আরও বলেন, ঘৃণা বা গসিপের পরিবর্তে আমি সেটা করতে চাই না। আমি ভালোবাসা ছড়াতে চাই। আর বিউটি অ্যান্ড গ্ল্যামারের ক্ষেত্রে এখন সবাই সচেতন। ফিটনেসের ক্ষেত্রে ফারিয়া, মীম ও আমি টুকটাক মেনে চলি। আসলে এমন অনেকেই আছে।
সতীনে চুলোচুলি: অপু বলেন, ‘আমি শাকিবের অফিসে ঢুকে দেখি টিভিতে কার্টুন দেখছে শাহজাদ (বুবলীর ছেলে) আর একটা চেয়ারে বুবলী বসে আছেন। শাকিব ঘুমোচ্ছেন। সেখানে শাকিবের দুই সহকারীও ছিলেন। এরপরও বুবলী কেন যে এটাকে কোয়ালিটি টাইম বলছেন জানি না। এটা বলে শুধু উনি নিজে ছোট হচ্ছেন না, অন্যকেও ছোট করছেন।’
একদিকে শাকিব-অপু, আরেকদিকে শাকিব-বুবলী। বাংলাদেশে এই ত্রয়ীর সম্পর্ক ঘিরে কিছু কম জলঘোলা হয়না। একটা সময় অপু বিশ্বাসের সঙ্গে শাকিবের সম্পর্কের তিক্ততার কথা ছিল সকলেরই জানা। তবে পরিস্থিতি বদলেছে। শাকিবের দ্বিতীয় স্ত্রী বুবলীও তাঁদের ছেলে শেহজাদ খান বীরের কথা প্রকাশ্যে আনেন। আর তখনই বুবলীর সঙ্গে তিক্ততা বাড়ে শাকিবের। পাল্লা ঝুঁকে যায় অপুর দিকে।
আবার এই শাকিবই যখন ধর্ষণের মামলায় ফেঁসেছিলেন, তখন তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন প্রথমা অপু। আর স্বাভাবিকভাবেই তাঁর প্রতি শাকিবের দুর্বলতা বাড়ে। তিক্ততা বাড়ে বুবলীর সঙ্গে। আবার কখনও পাল্লা ঝুঁকেছে বুবলীর দিকে। এই শাকিবই আবার বুবলী ও তাঁর ছেলে শাহজাদের জন্মদিন পালন করেছেন, ছেলেকে ভর্তি করতে স্কুলেও গিয়েছেন। আবার কখনও অপুকেও তাঁদের ছেলে জয়কে নিয়ে প্রাক্তন স্বামীর বাড়িতে যাতায়াত করতে দেখা গিয়েছে। যদিও বলাই বহুল্য শাকিবের দুই স্ত্রী অপু-বুবলীর সম্পর্ক কিন্তু মোটেও মধুর নয়। দুই সতীনের সম্পর্কে শুধুই তিক্ততা। তবে শাকিবের সঙ্গে দুই স্ত্রী ও ছেলের দিব্যি যোগাযোগ রয়েছে। সম্প্রতি কানাঘুষো আবার শোনা যাচ্ছিল শাকিব ফের প্রথমা স্ত্রী অপুকেই আবার বিয়ে করেছেন। যদিও একথা শাকিব বা অপু, কেউই প্রকাশ্যে জানাননি।
এদিকে সম্প্রতি ইদে ছেলেকে নিয়ে শাকিবের বাড়িতে গিয়েছিলেন অপু। আবার ওইদিনই ছেলে বীরের সঙ্গে প্রাক্তন স্বামীর বাড়ি থেকে ছবি পোস্ট করেন বুবলী। ব্যাস, অমনি শুরু হয় অশান্তি। খবর রটে, শাকিব-বুবলী একান্তে সময় কাটাচ্ছেন। আর তাতেই এবার মুখ খুললেন অপু।
সম্প্রতি সাক্ষাৎকারে বুবলী বলেন, শাকিবের বাড়িতেই অপু আর তাঁর ছেলে জয়ের সঙ্গে দেখা হয় তাঁদের। বুবলীর দাবি, তিনি শাকিব আর বীরের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছিলেন। আর তখনই ছেলে জয়কে নিয়ে ঘরে ঢুকে পড়েন অপু। বুবলীর এই মন্তব্যে নতুন জল্পনা তৈরি হয়। এদিকে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে এখবর দেখে বেজায় চটে যান শাকিব ও অপু। মুখ খোলেন অপু বিশ্বাস।
ঠিক কী বলেছেন শাকিবের প্রথমা অপু? অপু বলেন, ‘বুবলীর সঙ্গে প্রথম দেখা হয় রমজানের প্রথম দিন। আমি সেদিন আগে থেকেই জয়কে নিয়ে শাকিবের বাড়িতেই ছিলাম। সেদিন বুবলী শাকিবের অফিসে এসেছিলেন, বাড়িতে নয়।’ অপু বলেন, ‘আমি শাকিবের অফিসে ঢুকে দেখি টিভিতে কার্টুন দেখছে শাহজাদ (বুবলীর ছেলে) দেখছে। আর একটা চেয়ারে তিনি (বুবলী) বসে আছেন। শাকিব ঘুমোচ্ছেন। সেখানে শাকিবের দুই সহকারীও ছিলেন। এরপরও বুবলী কেন যে এটাকে কোয়ালিটি টাইম বলছেন জানি না। এটা বলে শুধু উনি নিজ ছোট হচ্ছেন না, অন্যকেও ছোট করছেন।’
রেগে গিয়ে অপু আরও বলেন, ‘ছেলে শাহজাদের উপস্থিতিতে কোয়ালিটি টাইম কাটানোর কোনও যৌক্তিকতাও আমি দেখি না। এসবই মিথ্যে। তিনি (বুবলী) কীভাবে বলতে পারেন ছেলে শাহজাদ তাঁদের স্পেস (শাকিব-বুবলী) দেয়! কী অদ্ভুত! ছোট বাচ্চা, সে কীভাবে বুঝতে পারে বাবা-মা একসঙ্গে সময় কাটাচ্ছে? আমি শুধুই এটুকু বলব, আল্লা যেন ওকে হেদায়েত (সুমতি) দান করেন। খুবই দুঃখিত যে এই সময় এসব কথা বলতে হচ্ছে।! ’