পঞ্চ পল্লীতে নির্মমভাবে দুই ভাইকে হত্যার প্রতিবাদে
ফরিদপুরের মধুখালীর পঞ্চ পল্লীতে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ জনতা ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটারজুড়ে যানজট তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার শেল ও ফাঁকা গুলি বর্ষণ করেছে। এতে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রায় ১৫ জনেরও বেশি আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত যান চলাচল শুরু হয়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবিসহ বিভিন্ন বাহিনী কাজ করছে। বিকল্পপথে অনেক যানবাহন চলাচল করছে।
জানা গেছে, পঞ্চ পল্লীতে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা ও মন্দিরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগের ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার প্রতিবাদে সোমবার সকাল ৯টায় মধুখালী রেলগেটে মানববন্ধনের ডাক দেয়া হয়। স্থানীয় সর্বসাধারণের ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচি পালনে সেখানে জনতা সমবেত হতে থাকলে পুলিশ তাদের হটিয়ে দেয়। এসময় সমবেতরা একাধিক ভাগে বিভক্ত হয়ে মালেকা চক্ষু হাসপাতালের সামনে, কামারখালী ব্রিজের অদূরে মাঝিবাড়িতে ও বাগাটের ঘোপঘাটসহ বিভিন্নস্থানে অবস্থান নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিক্ষুব্ধরা মহাসড়কে উঠে অবস্থান নিতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এসময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস ও শর্টগানের গুলি ছুড়ে। এতে জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। এরপর মহাসড়কের বিভিন্নস্থানে গাছের গুড়ি ফেলে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ। সেখানে পুলিশের রায়ট কার মোতায়ন রয়েছে। তবে হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ জনতাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ।
মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিরাজ হোসেন বলেন, ডুমাইনের প পল্লীর ঘটনাকে কেন্দ্র করে মধুখালী উপজেলার পাইলট স্কুল থেকে নওয়াপাড়া পর্যন্ত বেশ কয়েকটি স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করে। কোথায় বুঝিয়ে শুনিয়ে কোথাও টিয়ারগ্যাস ও ফাঁকা গুলি নিক্ষেপ করে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা চালায় পুলিশ। একারণে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজট নিরসণে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।