গরমে ঘাম কমবেশি সবারই হয়। তবে অনেকেরই প্রচণ্ড ঘাম হয়। এই ঘামের কারণে ঘন ঘন ডিহাইড্রেশন হয়। অথচ একই সময় অন্যদের ততটা ঘাম হয় না। ঘামের এই সমস্যাকে হাইপারহাইড্রোসিস বলা হয়। আর এই সমস্যার জন্য কি চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি? হাইপারহাইড্রোসিস হলে আর কী কী লক্ষণ দেখা যায়? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
হাইপারহাইড্রোসিসের লক্ষণ কী কী? ১. ঘামে জামাকাপড় ভিজে যায়। ২. ঘাম থেকে প্রচণ্ড অস্বস্তি ও চুলকানি হতে পারে। ৩. ত্বকে জ্বালাপোড়া হতে পারে। ৪. গায়ে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ তৈরি হয়। ৫. ত্বক ফেটে যেতে পারে। ৬. ত্বকে পুরোপুরি ভিজে থাকে। ৭. কপাল, মুখ, হাতের কনুই থেকে জলের মতো ঘাম ঝরতে থাকে।
শরীরের কোন অঙ্গে হাইপারহাইড্রোসিস হয় বেশি? ১. কপালে ২. থুতনিতে ৩. বগলে ৪. পায়ের পাতায়
৫. হাতের তালুতে ৬. গোপনাঙ্গে ৭. কোমরে শুধু রোদে নয়, চোখের সুরক্ষায় সানগ্লাস কেন জরুরি?
অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার পিছনে একাধিক কারণ থাকে। যেমন- মানসিক বা শারীরিক স্ট্রেস বেড়ে গেলে বেশি ঘাম হতে পারে। সারাদিন কাজের জেরে প্রচুর স্ট্রেস হয়। মানসিক কারণে এই সমস্যা হতে পারে। এছাড়া কোনো কারণে দুশ্চিন্তা বেড়ে গেলে বেশি ঘাম হয়। এমনকি ঘর্মগ্রন্থি অতি সক্রিয় হলে বেশি ঘাম হতে পারে। সাধারণভাবে শরীর ঠান্ডা করতে ঘর্মগ্রন্থি ঘাম বের করে। এই ঘাম শরীর থেকে অতিরিক্ত তাপমাত্রা শুষে বাষ্প হয়। আবহাওয়ার পারদ চড়লে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া কিংবা ব্যায়াম বা কোনো শারীরিক পরিশ্রমের কাজ করলেও ঘাম হওয়া স্বাভাবিক।
কিছু নির্দিষ্ট খাবার ও পানীয় খেলে বারবার ঘাম হয়। যেমন ঝাল ও মসলাজাতীয় খাবার। এছাড়া ফ্যাটজাতীয় খাবার খেলেও সমস্যা হতে পারে। অতিমাত্রায় প্রোটিন আছে এমন খাবার থেকেও সমস্যা বাড়ে।
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন? অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার কারণে শারীরিক সমস্যা হলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি। এছাড়া প্রতিদিনের কাজকর্ম ব্যাহত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সূত্র: এবিপি লাইভ