শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ০৪:২৪ অপরাহ্ন

চকরিয়ায় ফিসিং বোট তৈরীর হিড়িক

মনির আহমদ কক্সবাজার
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪

কক্সবাজারের চকরিয়ায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলের চোরাই কাঠ দিয়ে অবৈধ ফিশিং বোট তৈরির হিড়িক পড়েছে। ভুঁয়া টিপি ব্যবহার করে কতিপয় ফিসিং বোট ব্যবসায়ী মাতামুহুরী নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন জায়গায় বীরদর্পে এসব অবৈধ ফিশিং বোট তৈরী করে বিক্রী করছেন। বন বিভাগের লোকজন এসব দেখেও নীরব দর্শকের ভুমিকায় রয়েছেন। জানা যায়, কক্সবাজারের উপকূলীয় অঞ্চলের চকরিয়া, মহেশখালী ও পেকুয়া উপজেলার জেলে ও লবন ব্যবসায়িদের চাহিদায় বনাঞ্চলের মাদার ট্রি নিধন করে ফিশিং বোট তৈরী করেন প্রভাবশালী বোট ব্যবসায়ী। তারই ধারাবাহিকতায় এবছরও উপজেলার বাটাখালী,চোঁয়ারফাড়ি, পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের বেতুয়া বাজার, কৈয়াবিল ইউনিয়নের ডিগকূল এবং বিএমচর ইউনিয়ন ও উপকূলীয় বদরখালী ইউনিয়ন এবং চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বরইতলী ৯নং ওয়ার্ডের দক্ষিন গোবিন্দপুর মাতামুহুরী নদীর তীরবর্তী এলাকায় ফিশিং বোট তৈরীর হিড়িক পড়েছে। সংশ্লিষ্ঠ এলাকার কিছু প্রভাবশালী অসাধু বোট ব্যবসায়ী রাতের আঁধারে সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে বড় বড় ও লম্বা সাইজের মাদারট্রি কেটে বিভিন্ন স’মিলে চিরাইয়ের পর দিন দুপুরে প্রকাশ্যে এসব বোট তৈরী করে চলেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ফিসিংবোট তৈরীকারক কোং জানান, একটি ফিসিংবোট তৈরী করতে তিন থেকে পাঁচ হাজার ফুট গাছ লাগে। তৎমধ্যে অন্তত: এক হাজার ফুট লাগে ৩০’-৪০’ ফুট লম্বা গর্জন কাঠের তক্তা। কিন্তু ১৫-২০ বছরের মধ্যে লম্বা কোন কাঠ নিলাম না হওয়ায় টিপি’র কাঠ নাই। পুরানো যে কোন টিপি’র কাগজে আপডেট তারিখ বসিয়ে ফাসিয়াখালী রেঞ্জের এফজি কাম ক্যাশিয়ার সুর্য বাবু, বদরখালীর দ্বায়িত্বে নিয়োজিত বনবিট কর্মকর্তা হুমায়ুন ও কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ডিএফওর জনৈক ড্রাইভার একেকটি টিপি তৈয়ার করতে ৪০-৫০ হাজার টাকা নিয়ে ফাসিয়াখালী রেঞ্জার মেহেরাজকে দিয়ে অনুমতি নেয়া হয়। চোঁয়ারফাড়ীর এক ফিসিংবোট তৈরীকারক জানান, এসব মাদারট্রি প্রভাবশালী বোট ব্যবসায়ীরা বনবিভাগের লোকজনকে ম্যানেজ করে কক্সবাজার উত্তর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ ও লামা বনবিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে সংগ্রহ করেন। এ ব্যাপারে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফাসিয়াখালীর রেঞ্জ কর্মকর্তা মেহেরাজ উদ্দিন বলেন, ভুঁয়া কাগজ দিয়ে টিপি তৈয়ারের কোন সুযোগ নাই এবং কোন টাকাও নেয়ার সিস্টেম নাই, বোট তৈরী কারকরা বোট তৈরী না করলে খাবে কি? যা অনুমোদন দেই মানবিক কারনে। অভিযোগ রয়েছে, বোট তৈরীতে জড়িত প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সাথে বনকর্মীদের সমঝোতার কারনে অবৈধ বোট তৈরী বন্ধ হচ্ছে না। ফলে দিনদিন মাদারট্রি শুণ্য হয়ে পড়েছে রিজার্ভ বন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com