রোগী ও তাদের স্বজনদের সাথে প্রতারণা, অর্থ হাতিয়ে নেওয়াসহ নানা অভিযোগের ভিত্তিতে বরিশাল শের-ই বাংলা মে?ডিক্যাল ক?লেজ হাসপাতা?লে (শেবাচিম) অভিযান চালিয়ে ১০ নারীসহ দালাল চক্রের ২৫ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব-৮ এর সদস্যরা। হাসপাতালের প্রধান গেটে মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৮ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী যুবায়ের আলম শোভন বলেন, বরিশাল বিভাগের সবচেয়ে বড় হাসপাতালটিতে রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসলেও নানা হয়রানির শিকার হতে হয় বলে বিস্তার অভিযোগ রয়েছে। গোপনে সংবাদের ভিতিত্ত্বে মঙ্গলবার সকাল থেকে র্যাবের সদস্যরা হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে দালাল চক্রের ২৫ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, আটককৃতদের মধ্যে বেশিরভাগ হাসপাতালের পুরাতন স্টাফ। যারা কোনো না কোনো সময় বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে চাকরিচ্যুত হয়েছেন। আবার ২/১ জনের বর্তমান স্টাফদের সাথে সম্পৃক্ততাও পাওয়া গেছে। যারা এই চক্রের সাথে জড়িত। আমরা চাই সাধারণ মানুষের শতভাগ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে। সেই লক্ষ্যে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে সবধরনের সহায়তা থাকার কথা উল্লেখ করে শেবাচিম হাসপাতাল পরিচালক ডাঃ এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, গোটা বরিশালে আমরা দালালমুক্ত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে চাই। এ চক্রের খপ্পরে পরে সাধারণ মানুষ নিঃস্ব হচ্ছে। এদের সাথে আমাদের কোনো স্টাফ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার প্রতিটি উপজেলা হাসপাতালে স্ব-স্ব এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী ও হাসপাতাল সংশ্লিষ্টদের ছত্রছায়ায় গড়ে উঠেছে দালাল চক্রের বিশাল সিন্ডিকেট। রোগী ও তাদের স্বজনদের জিম্মি করে অর্থকড়ি হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তাদের প্রতিবাদ করায় অধিকাংশ সময় হাসপাতালের কলাপসিবল গেট আটকিয়ে মারধর করাসহ ওই চক্রের সাথে জড়িত স্টাফদের ইস্যু করে সরকারি কাজে বাঁধার অভিযোগ এনে মামলা দায়েরের হুমকি প্রদর্শন করা হচ্ছে। সর্বশেষ গৌরনদী উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে এমনই এক পরিস্থিতির স্বীকার হতে হয়েছে স্থানীয় সিনিয়র এক সাংবাদিককে।