পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের চরলতা মৌজা। চরলতা এলাকার পশ্চিম পাশে ও পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পূর্ব পাশে। সরকারের বরাদ্দকৃত মুক্তিযোদ্ধার চর। সেই চরের জমির পাশে অবৈধ ভাবে ড্রেজার দিয়ে বালি কাটার প্রতিবাদে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালীন সময়ে চরের জমির পাশ ঘেঁষে থ্রি স্টার নামে ড্রেজার সহ ৬-৭টি ড্রেজার দিয়ে অবৈধ ভাবে দিনরাত বালি কাটার মহাযজ্ঞ চলছে। এবিষয়ে গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আঃ সত্তার হাওলাদার মানববন্ধন কর্মসূচিতে বলেন, আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের অসহায় পরিবারদের কে বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে ২০০৫-৬ সালে গলাচিপা থেকে রাঙ্গাবালী উপজেলা আলাদা হওয়ার পূর্বে মুক্তিযোদ্ধাদের নামে ১.৫ একর করে জমি বন্দবস্ত দেয় হয়। বর্তমানে এই চরটি মুক্তিযোদ্ধাদের চর নামে পরিচিত। সেই চরের কোল ঘেঁষে বালিদস্যুরা অবৈধ ভাবে ড্রেজার বশিয়ে বালি কেটে নিয়ে যায়। এতে করে আমাদের জমি দিনদিন ভেঙে যাচ্ছে এবং অবৈধ ভাবে বালি কাটার কারনে অচিরেই চরটি বিলিন হয়ে যাবে। তাই মুক্তিযোদ্ধাদের একটাই দাবি সরকার ও জেলা প্রশাসনের কাছে, দাবি অতিবিলম্ভে প্রভাবশালী,ভূমি ও বালিদস্যুদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। এবং অসহায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে দেয়া বরাদ্দকৃত জমিতে যেন কোন অবৈধ ভাবে ড্রেজার দিয়ে বালি কাটা না হয়। এছাড়া তিনি আরো বলেন কয়েক দিন ধরে রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বার বার জানানো হলেও কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এছাড়াও কয়েক দিন আগে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক ও জেলা বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নূর কুতুবুল আলম স্যার কে জানানোর পর থেকে ঐ বালিদস্যুরা ক্ষিপ্ত হয়ে আরো বেশি করে ড্রেজার বশিয়ে বালি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। তাই আমরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছি। এর পরেও তারা যদি এই জমির পাশে থেকে বালি কাটা বন্ধ না করে। তাহলে জেলা প্রশাসক ও বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে স্মারক লিপি প্রদান করা হবে। এসময় মানববন্ধনে উপস্থিত থাকেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ বারেক মৃধা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ফজলুল করিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ওয়াজেদ আলী, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান শহিদুল ইসলাম, মোঃ কুদ্দুস মিয়া,আঃ রব মিয়া সহ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের আরো অনেকে।