দৈনিক লোকসমাজের চিফ রিপোর্টার ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন- বিএফইউজের কাউন্সিল সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সিনিয়র সদস্য মোস্তফা রুহুল কুদ্দুস ইন্তিকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
দৈনিক সংগ্রাম পরিবারের পক্ষ গভীর শোক প্রকাশ ও সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়েছে। তার পরিবারের সদস্যরা জানান, মঙ্গলবার ৪ জুন দুপুর সাড়ে ১২ টার পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের বারান্দী মোল্লাপাড়া বাশতলাস্থ নিজ বাসভবনে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। দ্রুত তাকে জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে গেছেন। সাংবাদিক, সংগঠক, লেখক ও নাট্যকার হিসেবে খ্যাতিমান ছিলেন মোস্তফা রুহুল কুদ্দুস। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি যশোর প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ তিনি সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন। যশোরের পূরবী পত্রিকার মাধ্যমে তার পেশা জীবন সূচনা হয়। খুলনা থেকে প্রকাশিত দৈনিক পূর্বাঞ্চলের যশোর অফিসের দায়িত্বে ছিলেন। দৈনিক লোকসমাজ পত্রিকার প্রকাশনালগ্ন থেকে তিনি এর সাথে সম্পৃক্ত হন এবং মৃত্যুকালে পত্রিকার চিফ রিপোর্টার ছিলেন।
দৈনিক সংগ্রাম এর যশোর অফিস প্রধান হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। সাহিত্য সংসংস্কৃতির অঙ্গনে সরব পদচালনা ছিল মোস্তফা রুহুল কুদ্দুসের। অর্ধশত বইয়ের রচয়িতা তিনি। ছিলেন নাট্যকার ও শিশু সাহিত্যিক। শিশুদের ইসলামি মূল্যবোধ নিয়ে বেড়ে ওঠার লক্ষ্যে কলম সচল ছিল তার।
বিএফইউজে-এর শোক: মোস্তফা রুহুল কুদ্দুসের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে (রেজি. নং-বি-১৯৮৭)। বিএফইউজে সভাপতি জনাব রুহুল আমিন গাজী ও মহাসচিব জনাব কাদের গনি চৌধুরী মঙ্গলবার ৪ জুন এক বিবৃতিতে এ শোক প্রকাশ করেন। নেতৃদ্বয় মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় মরহুমের স্মৃতিচারণ করে বলেন, তিনি একজন ভালো সাংবাদিক এবং সংগঠক ছিলেন। সাংবাদিকদের রুটি রুজির আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তার মৃত্যুতে সাংবাদিক সমাজ একজন নিবেদিতপ্রাণ সংবাদকর্মীকে হারালো।
সাংবাদিক ও নাট্যকার মোস্তফা রুহুল কুদ্দুসের দেশীয়’র শোক: বিশিষ্ট নাট্যকার জাতীয় পর্যায়ে স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক মোস্তফা রুহুল কুদ্দুস ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে যৌথ এক বিবৃতিতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জাতীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন দেশীয় সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ ও সেক্রেটারী ড. মনোয়ারুল ইসলাম। তার পরিবারের সদস্যরা জানান, গতকাল মঙ্গলবার ৪ জুন দুপুর সাড়ে ১২ টায় পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের বারান্দী মোল্লাপাড়া বাশতলাস্থ নিজ বাসভবনে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। দ্রুত তাকে জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। শোকবার্তায় নেতৃবৃন্দ বলেন- মোস্তফা রুহুল কুদ্দুস ছিলেন সুস্থ সাংস্কৃতিক অঙ্গনের একজন শক্তিমান সাংস্কৃতিক সংগঠক। তিনি ছিলেন একাধারে নাট্যকার ও সাংবাদিক। তাঁর মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। ইসলামী ধারার সাহিত্য-সাংস্কৃতিক অঙ্গন একজন গুণীজনকে হারালো। আমরা তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। সম্ভাব্য সকল সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে মোস্তফা রুহুল কুদ্দুস স্মরণে দোয়া ও আলোচনা সভা আয়োজন করারও আহবান জানান দেশীয়’র নেতৃবৃন্দ।
সাংবাদিক, সংগঠক, লেখক ও নাট্যকার হিসেবে খ্যাতিমান ছিলেন মোস্তফা রুহুল কুদ্দুস। সাহিত্য সংস্কৃতির অঙ্গনে সরব পদচালনা ছিল মোস্তফা রুহুল কুদ্দুসের। তিনি ঐতিহ্যবাহী যশোর সংস্কৃতি কেন্দ্রের সহ-সভাপতি ছিলেন। অর্ধশত বইয়ের রচয়িতা তিনি। ছিলেন নাট্যকার ও শিশু সাহিত্যিক। স্বপ্নভঙ্গ, রাজা যখন কৃষক, কিপটের পরিণতি, বারো বাবুর কেচ্ছা, কুরবানির গরুসহ অসংখ্য নাটক রচনা করেছেন। এছাড়া ‘পরশ পাথর’ নামে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রও রচনা করেছেন।
দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি যশোর প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ তিনি সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন। যশোরের পূরবী পত্রিকার মাধ্যমে তার পেশা জীবন সূচনা হয়। খুলনা থেকে প্রকাশিত দৈনিক পূর্বাঞ্চলের যশোর অফিসের দায়িত্বে ছিলেন। দৈনিক লোকসমাজ পত্রিকার প্রকাশনালগ্ন থেকে তিনি এর সাথে সম্পৃক্ত হন এবং মৃত্যুকালে পত্রিকার চিফ রিপোর্টার ছিলেন। দৈনিক সংগ্রাম এর যশোর অফিস প্রধান হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। তিনি ২০১৩ সালে ‘প্রথম আলো ট্রাস্ট’ আয়োজিত মাদকবিরোধী সেরা প্রতিবেদন পুরস্কার লাভ করেন। মোস্তফা রুহুল কুদ্দুস ১৯৬৩ সালে যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার গালদা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বর্তমানে যশোর শহরের বারান্দী মোল্লাপাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা। তার পিতার নাম শামসুর রহমান বিশ্বাস। মাতা খোদেজা খাতুন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭:৩০টায় মোল্লাপাড়া কবরস্থান ঈদগাহ ময়দানে জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।