বরিশাল নগরীতে নর্দমা ও রাস্তা কুড়িয়ে সোনা তুলে চলছে সংসার, মাসিক আয় ৩০-৪০ হাজার টাকা হলেও খুব বেশি একটা সচ্ছল হওয়া যায় না বলে জানান ইসমাইল শেখ। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, প্রতিদিন ভেঙে ভেঙে টাকা পাই। অল্প অল্প করে স্বর্ণ জমাই, আবার বিক্রি করে দেই। টাকা থাকে না। তারপরও এই কাজ বেশ ভালোই লাগে ইসমাইল শেখ বলেন, ২৫ বছর ধরে একাজ করতেছি। খারাপ লাগে না। যত দিন আছি, এ পেশাতেই থাকব বলে জানান তিনি। স্বর্ণ খোঁজার তাগিদে দিনের বড় একটা সময় নর্দমার সঙ্গে বসবাস করতে হয়। পরিবারের লোকজন বিষয়টিকে কীভাবে দেখে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ পেশা নিয়ে আমার পরিবারের লোকজনের কোনো আপত্তি নেই। এছাড়াও মোঃ ইসমাইল মোল্লা বলেন, তার জন্মস্থান কুয়াকাটার আলীপুর মোল্লা গোজা এলাকার বাসিন্দা। তিনি কাজের সুবাদে গ্রাম ছেড়ে স্বপরিবার খুলনা জেলায় বসবাস করেন। বর্তমানে তিনি বরিশাল নগরীর গীর্জা মহল্লা এলাকায় একটি আবাসিক হোটেলে থেকে স্বর্ণ খোঁজার কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। প্রতিদিন স্বর্ণের দোকানের সামনে ঝাড়ু দিয়ে ও নর্দমা থেকে বালু উঠায়। এনিয়ে নগরীর কীর্তনখোলা নদীর তীরে মোঃ ইসমাইল মোল্লা, মোঃ নাসির সরদার, মোঃ রমজান শেখ, মোঃ জুম্মন শেখ মিলে পানিতে নেমে বড়ো পাত্রে বালু থেকে স্বর্ণ আলাদা করেন। আবার অনেক সময় রাস্তায় ঝাড়– বা নর্দমা থেকে বালু উঠাতে গেলে স্থানীয় ছেলেদের হামলা ও পুলিশ প্রশাসনের হয়রানির শিকার হতে হয়। ইসমাইল মোল্লা বলেন, আমাদের এই কাজের মাধ্যমে সংসার চালিয়ে বেচে আছি। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আমাদের যদি একটা সংগঠনের আওতায় নিয়ে পরিচয় পত্র দিতেন। তাহলে আমাদের হামলা বা পুলিশ প্রশাসনের হয়রানির শিকার হওয়া লাগতে না।