“শিক্ষার গুনগম মান উন্নয়নে শিক্ষা জাতীয়করণের বিকল্প নাই” এই শ্লোগান শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ ও আসন্ন ঈদ-উল-আযহার পূর্বেই বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারীদের শতভাগ পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতার দাবীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রী বরাবরে শিক্ষক নেতা ও বিভিন্ন শিক্ষকদের শরীরের তাজা দিয়ে লেখা স্মারকলিপি প্রদান ও মানববন্ধন সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছে বরিশাল বিভাগীয় জাতীয় শিক্ষক কর্মচারী সমিতি ফেডারেশন। মঙ্গলবার (১১) জুন সকাল ১০ থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত নগরীর অশি^নী কুমার টাউন হল চত্বরে কর্মসূচি পালিত হয়। বরিশাল বিভাগীয় জাতীয় শিক্ষক-কর্মচারি সমিতি ফেডারেশনের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক মহসিন-উল-ইসলাম হাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিভিন্ন শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বক্তরা বলেন শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি খাতে বিরাজমান বৈষম্য দুর করে শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষে দ্রুত বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণমপূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা এবং শতভাগ ঘড়ভাড়া প্রদানের দাবী জানান। তারা আরো বলেন আমরা দীর্ঘদিন ধরে আমাদের এই প্রানের ন্যায্য দাবী আদায়ের জন্য সমাবেশ মানববন্ধন এমনকি গত পবিত্র ঊদের দিন বরিশাল নগরীতে কালো পতাকার মিছিল পর্যন্ত করেছি এরপর এখন পর্যন্ত সরকার আমাদের দাবীর বিষয়ে কোন ভ্ররুক্ষেপ করছে না। তাই আজ আমরা কালি দিয়ে নয় নিজ নিজ শরীরের রক্ত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর বরাবরে স্মরকলিপি প্রদান করার মাধ্যমে শিক্ষকদের দাবী মেনে নেওয়ার আহবান জানান। এরপরও যদি শিক্ষকদের দাবী মেনে নেওয়া না হয় তাহলে অঅগামীতে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কঠোর থেকে কঠোরতম কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হবে আশাকরি প্রধানমন্ত্রী শিক্ষকেদের সেদিকে ঠেলে দেবেন না। এসময় প্রতিবাদী মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সেলিম, অধ্যক্ষ আমিনুর রহমান খোকন, অধ্যাপক গৌরঙ্গ চন্দ্র কুন্ড, উপাধাক্ষ আনায়ারুল হক, অধ্যক্ষ হানিফ হোসেন তালুকদার, অধ্যক্ষ প্রনব কুমার বেপারী, প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহ আলম, মোঃ রেজাউল করিম, মোঃ শফিউল আজম, অধ্যাপক শাহ্ আজিজ খোকন, অধ্যাপক শাখাওয়াত হোসেন, প্রধান শিক্ষক নুরুল হক, অধ্যাপক আফজাল হোসেন, কামরুজ্জামান সালাম, রফিকুল ইসলাম ও স্ঈাদুর রহমান প্রমুখ। পরে জেলা প্রশাসক দপ্তরের মাধ্যমে শিক্ষক নেতৃবৃন্দের রক্ত দিয়ে লেখা স্মারকলিপি প্রদান করেন। প্রচন্ড গরম উপেক্ষা করে কর্মসূচিতে শিক্ষক নেতৃবৃন্দের ৪ টি সংগঠনের শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকারা অংশ গ্রহন করে।