পূর্ব শত্রুতার জেরধরে সুপরিকল্পিত ভাবে রাতের অন্ধকারে দুস্কৃতিরা দোকানে আগুন লাগিয়ে ক্ষতি সাধন করার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্র জানায় পিরোজপুর জেলার মধ্যে স্বরূপকাঠি উপজেলার গুয়ারেখা ইউনিয়নের রাজবাড়ী বাজারের ঘটনা। সোমবার রাত আনুমানিক তিন ঘটিকায় রাজবাড়ী বাজারের মহিলা দোকানদার নেহারুর দোকানের পিছনের দরজার তালা ভেঙে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায় ষড়যন্ত্রকারীরা। দোকানে সিলিন্ডারের শতাধিক বোতল সহ কেরসিন ছিল।রাজবাড়ী বাজারের মধ্যে সবচেয়ে বড় দোকান এটি। বাজারের লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন প্রায় অর্ধলক্ষ টাকার জিনিস পত্র আগুনে পুড়ে ছারখার হয়ে যায়। অভিযোগ উঠেছে গুয়ারেখা ইউনিয়নের মধ্যে বহুদিন ধরে নোংরা রাজনীতির চর্চা চলে আসছিল। আর সেই নোংরা মানসিকতার পরিচয় দিয়ে একটা পক্ষ ভাড়াটিয়া হত দরিদ্র পরিবারের পরিশ্রমী বিধবা নারীর দোকান ট্রামকার্ড হিসেবে ব্যাবহার করেন। ব্যাসকাঠী গ্রামের স্বামীহারা মহিলা দোকানদার বাকরুদ্ধ। লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হওয়ার পর পর-ই হতবিহ্বল হয়ে পড়ে। অথচ ব্যাসকাঠী রাজবাড়ী বাজারের মহিলা দোকানদারের আচার আচরণে মুগ্ধ সাধারণ মানুষ। বাজারের বেশির ভাগ লোকজন গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, এটা পরিকল্পিত নৃশংসতা। সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ রব সিকদারের বিডিতে মহিলা দোকানদার ভাড়াটিয়া হিসেবে বহুদিন ধরে দোকান পরিচালনা করে আসছিল। সুনামের সাথে সততার পরিচয় দিয়ে সকলের সুনজরে ছিল। প্রায় অর্ধলক্ষ টাকার পণ্য সামগ্রী ছিল দোকানে। স্থানীয় সূত্র আরও জানায়, পরিকল্পিত ভাবে ষড়যন্ত্রকারীরা সাবেক চেয়ারম্যান ও তার পরিবারের সাথে সামাজিক মান মর্যাদায় সমকক্ষ নয়। পাশাপাশি রাজনৈতিক মাঠে প্রয়াত চেয়ারম্যানের পরিবার রাজনৈতিক ভাবে পাকাপোক্ত অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে ইতিমধ্যে। আর সেই কারণে বলির পাঠা বানানো হয়েছে হতদরিদ্র পরিবারের সদস্য মহিলা দোকানদার নেহারুকে। সরেজমিনে যাওয়া গণমাধ্যম কর্মীরা দোকানে আগুন লাগানোর বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য উদঘাটন করার চেষ্টা করেন। সরেজমিনে যাওয়া গণমাধ্যম কর্মীরা বিভিন্ন বিষয় থেকে সুস্পষ্ট ইঙ্গিত পাচ্ছেন। আগুন লাগানোর পর পর-ই তড়িঘড়ি করে ষড়যন্ত্রকারীরা বের হয়ে যায়। কিন্তু পিছনের দরজা ভাঙ্গার আলামত রেখে যায়। এ ব্যাপারে সুশীল সমাজের লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, দোকানের পিছনের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে। এরপর ঠান্ডা মাথায় আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। গ্যাসের কারণে দাউদাউ করে জ্বলে উঠে। আর সেই কারণে নষ্ট প্রকৃতির বিপদ গামী লোকজন ঝটপট বেরহয়ে যায়। কিন্তু আলামত রেখে যায় সৃস্টি কর্তার নিয়ম নীতি অনুযায়ী। এলাকার সকলেই সহমত পরিকল্পিত ভাবে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করে মহিলা দোকানদার নেহারুর দোকানে আগুন লাগিয়েছে। সমাজের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত পরিবারের সাথে টেক্কা দিয়ে উঠতে না পারর বহিঃপ্রকাশ স্বরূপ দোকানে আগুন। বর্তমান চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেন সাংবাদিকরা। কিন্তু বার বার ফোন দেওয়া সত্বেও ফোন রিছিব হয়নি। অবশ্য এলাকার জনপ্রতিনিধি সমগ্র বিষয়টি নিয়ে নিন্দা জানান। ক্ষতিগ্রস্ত মহিলা দোকানদার ও তার ছেলে কাউকে আসামির কাঠগড়ায় নেয়নি। বরং বার বার বলে যাচ্ছে, এটা একটা গভীর ষড়যন্ত্র। আমাদের দোকানের পিছনের দরজার তালা ভেঙে প্রবেশ করে। এরপর ঠান্ডা মাথায় আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায়। আমাদের ক্ষতির পরিমাণ বলে লাভ নেই। বরং আমরা নিঃস্ব হয়ে গেলাম। আমরা কিভাবে বেচে থাকবো। কে আমাদের সাহায্য সহযোগিতা করবে। আর সেই কথা বলার সাথে সাথে কান্নায় ভেঙে পড়েন। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এলাকার সকলেই সহমত প্রকাশ করেন, পরিকল্পিত ভাবে ষড়যন্ত্র করে মহিলার দোকানে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায়। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার হতদরিদ্র পরিবারের মহিলা দোকানদার। নোংরা মানসিকতার পরিচয় দিয়ে একটা পক্ষ ঠান্ডা মাথায় অমানবিক কায়দায় দোকানে আগুন লাগানোর কাজে মত্ত ছিল। এলাকার সকলেই তীব্র নিন্দা জানান। ঘৃণা করেন সমাজের নোংরা মানসিকতার লোকজনদের।