যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে লেবার পার্টি। এখন পর্যন্ত ৫৩৬ আসনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে লেবার পার্টি ৩৬৭ আসনে জয় পেয়েছে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি জয় পেয়েছে ৮৫ আসনে। ৫১ আসনে জয় নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি। যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের মোট ৬৫০টি আসনের মধ্যে সরকার গঠনের জন্য কোনো দলকে এককভাবে পেতে হবে ৩২৬টি আসন।
এখন পর্যন্ত প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, লেবার পার্টি ৩২৬টির বেশি আসনে এরই মধ্যে জয় পেয়েছে। ফলে তারাই সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। যদিও এখনো ১১৪ আসনের ফলাফল প্রকাশিত হয়নি। লেবার পার্টির জয়ের ফলে যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন কিয়ার স্টারমার। হলবর্ন ও সেন্ট প্যানক্রাসে জয়ের পর লেবার পার্টির নেতা স্টারমার বলেন, পরিবর্তন শুরু হয়েছে। এখন আমাদের সময় কিছু দেওয়ার জন্য।
২০২০ সালের এপ্রিলে লেবার পার্টির নেতা হিসেবে দায়িত্ব নেন স্টারমার। জেরেমি করবিনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে সাধারণ নির্বাচনের ভোট শুরু হয়। ১৯৪৫ সালের পর যুক্তরাজ্যে প্রথমবারের মতো জুলাই মাসে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোট চলে রাত ১০টা পর্যন্ত।
যুক্তরাজ্যে নির্বাচন: কোন দল কত আসন পেল? যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়ে সরকার গঠনের পথে রয়েছে লেবার পার্টি। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি এবার হতাশজনক অবস্থানে রয়েছে। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, লেবার পার্টি ৪১১ আসনে জয় পেয়েছে। ১১৯ আসন পেয়েছে ক্ষমতাসীন দলটি। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি ৭১ আসনে জয় পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। তাছাড়া এসএনপি জয় পেয়েছে ৯ আসনে। ৭ আসন পেয়েছে এসএফ। ২৮টিতে জয় পেয়েছে অন্যান্যরা। ৫ আসনের ফলাফল এখনো ঘোষণা করা হয়নি।
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের মোট ৬৫০টি আসনের মধ্যে সরকার গঠনের জন্য কোনো দলকে এককভাবে পেতে হবে ৩২৬টি আসন। লেবার পার্টির জয়ের ফলে যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন কিয়ার স্টারমার। হলবর্ন ও সেন্ট প্যানক্রাসে জয়ের পর লেবার পার্টির নেতা স্টারমার বলেন, পরিবর্তন শুরু হয়েছে। এখন আমাদের সময় কিছু দেওয়ার জন্য। ২০২০ সালের এপ্রিলে লেবার পার্টির নেতা হিসেবে দায়িত্ব নেন স্টারমার। জেরেমি করবিনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন তিনি।
একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্ষমতা ছাড়তে হবে কনজারভেটিভ দলের নেতা ঋষি সুনাককে। প্রথমে রাজার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে তাকে। এরপর রাজা স্টারমারকে সরকার গঠনের জন্য আহ্বান জানাবেন গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে সাধারণ নির্বাচনের ভোট শুরু হয়। ১৯৪৫ সালের পর যুক্তরাজ্যে প্রথমবারের মতো জুলাই মাসে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোট চলে রাত ১০টা পর্যন্ত।
২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডাউনিং স্ট্রিট ছাড়তে হবে ঋষি সুনাককে: যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে লেবার পার্টি। ফলে দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন দলটির নেতা কিয়ার স্টারমার। যুক্তরাজ্যের নিয়ম অনুযায়ী, নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর পরবর্তী সরকার গঠন প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে খুব কম সময় নির্ধারিত। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট ছাড়তে হবে। তবে একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্ষমতা ছাড়তে হবে কনজারভেটিভ দলের এই নেতাকে। প্রথমে রাজার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে ঋষি সুনাককে। এরপর রাজা স্টারমারকে সরকার গঠনের জন্য আহ্বান জানাবেন। সবশেষ প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, ৩৯৮ আসনে জয় পেয়েছে লেবার পার্টি। কনজারভেটিভ পার্টি পেয়েছে ১০৭ আসন। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি পেয়েছে ৬৭ আসন।
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের মোট ৬৫০টি আসনের মধ্যে সরকার গঠনের জন্য কোনো দলকে এককভাবে পেতে হবে ৩২৬টি আসন। টানা পঞ্চমবারের মতো জয়ী রুশনারা আলী: যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে লেবার পার্টি থেকে টানা পঞ্চমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রুশনারা আলী। অন্যদিকে, এবারের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে তার দল।
লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটসের বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো আসন থেকে এবারের নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন রুশনারা আলী। তিনি ১৫ হাজার ৮৯৬ ভোট পেয়ে পঞ্চমবারের মতো নির্বাচিত হলেন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী আজমল মাশরুর পেয়েছেন ১৪ হাজার ২০৭ ভোট।
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এমপি রুশনারা আলী। লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটসের বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো আসনে ২০১০ সাল থেকে এর আগে টানা চারবার এমপি নির্বাচিত হন তিনি। ২০১০ থেকে আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক ছায়ামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন রুশনারা। এরপর তিনি ২০১৩ সালে ছায়া শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী নিযুক্ত হন। এদিকে, যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে লেবার পার্টি। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির ভরাডুবি হয়েছে এবারের নির্বাচনে। পরাজয় মেনে নিয়েছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।-বিবিসি