পটুয়াখালী জেলা কৃষক দলের সভাপতি মনিরুজ্জামান টিটুর বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র মুলক সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন। মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের এলাকাবাসী। ১০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় পটুয়াখালী জেলা কৃষক দলের সভাপতি মনিরুজ্জামান টিটুর নিজ গ্রাম পটুয়াখালী সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের চাটুয়ার স্লুইস এলাকায় এ মানববন্ধন কর্মসূচি করেন এলাকাবাসী। মানববন্ধনে স্থানীয়রা জানায়, গত সোমবার সন্ধায় জেলা কৃষক দলের সভাপতি মনিরুজ্জামান টিটুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মুলক যে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট। লতিফ হাওলাদার, আশ্রাফুল, মাসুম মৃধা, বশির সিকদার তারা আওয়ামীলীগের দোষর তারা আওয়ামীলীগের সময়ে আমাদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করেছে। উল্লেখ্য, গত ৮ সেপ্টেম্বর শিক্ষা তথ্য নামে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিএনপি নেতার ইন্দনে বসত বাড়ি ভাংচুর ও জমি দখলের শিরোনামে নিউজ করেছে। তার জের ধরে দুই গ্রুপে পাল্টা পাল্টি সংবাদ সম্মেলন করে। নিউজে লিখেছেন পটুয়াখালী সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া ইউনিয়নে বাজার ঘনা ৮ নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা আঃ লতিফ হাবিএনপিওলাদারের বসতবাড়ি ভাংচুর সহ ধানিজমিন দখলের নেপত্য পটুয়াখালী জেলা বিএনপির কৃষক দলের সভাপতি মনিরুজ্জামান টিটুর বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীর অভিযোগ রয়েছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় এই ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগী আঃ লতিফ হাওলাদার বলেন, গত ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর থেকে বিএনপির কৃষক দলের নেতা মনিরুজ্জামান টিটুর পেটোয়া বাহিনী বাড়িতে হামলা চালায়। এবং দেশীয় অস্ত্র দা,কাচিও কুড়াল দিয়ে বাড়ির বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে যায়। দেশের পরিস্থিতি খারাপ থাকায় কোথাও অভিযোগ দিতে পারিনী। তারি ধারাবাহিকতা গত ৪ সেপ্টেম্বর পুনরায় একই স্থানের বাসিন্দা মোঃ আমির হোসেন, মোঃ দেলোয়ার হোসেন, হানিফ মিয়া, আব্দুর রব সহ অজ্ঞাত আরো ২০/২৫ বসত বাড়ি ভাংচুর করে ধানি জমিন দখল করে নিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় থমথমে বিরাজ করছে। স্থানীয়রা বলেন, হামলাকারিদের অনেকের সাথে ভুক্তভোগীর জমি রিরোধ রয়েছে। তাছাড়া স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে টিটুকে সমর্থন না করায় এই ঘটনাটি ঘটতে পার। এব্যাপারে বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান টিটু বলেন, ভুক্তভোগী লতিফ হাওলাদারের ছেলে আশ্রাফ হাওলাদার পূর্বে ৮নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তাছাড়া যারা তাদের বাড়িতে হামলা করেছে তাদের সাথে পূর্ব থেকে জমি নিয়ে বিরোধ আছে। আমার দলের কোন লোক এই ঘটনার সাথে জড়িত না। তারা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলেছে। এব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। ভুক্তভোগী লতিফ হাওলাদার বলেন, এখন দেশে বিচার নেই, আমি কার কাছে বিচার দিবো। হামলাকারিদের ভয়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে রাতে ঘুমাতে পাড়িনা। আল্লাহর কাছে বিচার দিলাম। আর যদি টিকতেই না পারি বাবার বসত ভিটা ছেড়ে দুরে কোথাও চলে যাবো। এবিষয়ে সরজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীরদের কাছ থেকে জানাযায়, লতিফ হাওলাদার ও দেলোয়ার হাওলাদার পরস্পর নিকটতম আত্মীয় এটা সাবেক চেয়ারম্যান বশির সিকদারের চক্রান্ত।