টেলিভিশন শিল্পীদের সংগঠন অভিনয়শিল্পী সংঘ থেকে পদত্যাগ করেছেন ‘সাঁতাও’ ছবির নায়িকা আইনূন পুতুল। গত (১৫ সেপ্টেম্বর) রোববার সভাপতি বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। অভিনয়শিল্পী সংঘের বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সংগঠন থেকে পদত্যাগ করলেন কার্যনির্বাহী পদের এই সদস্য।
আইনূন পুতুলের পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবীব নাসিম। তিনি বলেন, ‘আমি শুনেছি, তবে তিনি কী কারণে পদত্যাগ করেছেন তা চিঠিতে উল্লেখ করেননি। আমার সঙ্গে পুতুলের কথাও হয়নি। আশা করছি ১৮ সেপ্টেম্বর সাধারণ সভায় সব জানা যাবে।’
কেন পদত্যাগ করলেন? বিষয়টি জানতে যোগাযোগ করলে অভিনেত্রী আইনূন পুতুল জাগো নিউজকে জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছু বলতে চান না। তবে সংগঠনের সাধারণ সভায় বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন তিনি। সংবাদমাধ্যমে কথা বলতে না চাইলেও, সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে নাতিদীর্ঘ একটি পোস্ট দিয়েছেন পুতুল। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘আমি আইনূন পুতুল একজন অভিনয়শিল্পী। গত ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে অভিনয়শিল্পী সংঘ বাংলাদেশের নির্বাচনে অভিনয়শিল্পীর ভোটে নির্বাচিত হই। আমার প্রতি আস্থা এবং বিশ্বাস রাখার জন্য শ্রদ্ধেয় অভিনয়শিল্পীদের জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা এবং কৃতজ্ঞতা। এ যাবৎ আমার সর্বোচ্চ দিয়ে আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করবার চেষ্টা করেছি। যতটুকু পারিনি, সেটা আমার সীমাবদ্ধতা, আমাকে ক্ষমা করবেন। আজ ১৫ই সেপ্টেম্বর আমি আমার প্রিয় অভিনয়শিল্পী সংঘ বাংলাদেশের কার্যনির্বাহী সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন আইনূন পুতুল। ২০০৬ সালে বাংলাভিশনে প্রচারিত পলাশ রহমান পরিচালিত ‘ঘাটের কথা’ নাটকে কুসুম চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে অভিনয়ে আনুষ্ঠানিক অভিষেক হয় তার। প্রথম নাটকেই কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করে বেশ প্রশংসিত হন তিনি। পরে অমিতাভ রেজার নির্দেশনায় গ্রামীণফোনের বিজ্ঞাপনে, শরাফ আহমেদ জীবনের নির্দেশনায় বিকাশের বিজ্ঞাপন তাকে বিপুল পরিচিতি এনে দেয়। সর্বশেষ ‘সাঁতাও’ সিনেমায় প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসিত হন পুতুল।