বাংলাদেশের সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুজ্জামান চৌধুরী যুক্তরাজ্যে কিভাবে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হয়েছেন, সে বিষয়ে তদন্ত ও সম্পদ জব্দ করতে দেশটির সরকার কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তা জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি আপসানা বেগম।
গত মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম অ্যাজেন্সির মহাপরিচালক গ্রায়েম
বিগারকে দেয়া ওই চিঠিতে আপসানা বেগম উল্লেখ করেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে মন্ত্রী হওয়া সাইফুজ্জামান চৌধুরী সম্ভবত দুর্নীতি ও আর্থিক অনিয়মের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ ব্যবহার করে যুক্তরাজ্যে বিপুল সম্পদ কিনেছেন। কাজেই তদন্তপূর্বক তার সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে অবশ্যই বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো দরকার বলে মনে করেন ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন দল লেবার পার্টির এই সংসদ সদস্য। চিঠিতে তিনি বলেন, দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশের মানুষের যে জীবনমানে ক্ষতি, কর্মক্ষেত্রের অধিকার ও গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হয়েছে, সেটির পক্ষে প্রমাণ আছে।
ফলে বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র ও নিজেদের স্বার্থ সংরক্ষণে যে লড়াই চালাচ্ছে, তাতে সহায়তা করতেই দুর্নীতির টাকায় কেনা ওই সম্পত্তি দেশটিতে ফেরত পাঠানো উচিত বলেই মনে করেন লেবার পার্টির এই এমপি।
চিঠিতে তিনি আরো বলেন, সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পদ জব্দ করে ফিরিয়ে দেয়া কেবল বাংলাদেশের মানুষের ন্যায্য পাওনা ও ভবিষ্যৎ অধিকার সংরক্ষণের জন্যই গুরুত্বপূর্ণই নয়, বরং যুক্তরাজ্যের নিজের সুনাম ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার করে যুক্তরাজ্য কয়েক শ’ বাড়ি কিনেছেন বলে দেশী-বিদেশী গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে সম্প্রতি যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে সাহায্যও চেয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্র্বতী সরকার।
এমন পরিস্থিতির মধ্যে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম অ্যাজেন্সিকে চিঠি দিলেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি আপসানা বেগম। সূত্র : বিবিসি