শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৫২ অপরাহ্ন

দেশ ছাড়া নেতাদের শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি বিএনপি’র

ইকবাল হোসেন:
  • আপডেট সময় শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৪

ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর দেশ ছাড়া নেতাদের শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টির উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এক সমাবেশে তিনি এ দাবি জানান।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘হুট করে দেশে চলে আসবেন? টেলিফোনে কথা-বার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়, এত সহজ নয়। চুরি করে পালাতে পারেন ভারতে, এখন আওয়ামী লীগের বিজিবি নয়, এখন ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের বিজিবি। বর্ডার খুব শক্ত। যারা গেছেন তাদের শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে সরকারকে। কী করে গেলো, কেমন করে গেলোৃ যারা বাংলাদেশে অনেক মায়ের বুক খালি করেছে, তারা কী করে হিন্দুস্তানে পালিয়ে যায় সেই শ্বেতপত্র সরকারকে প্রকাশ করতে হবে।’
ভারতের উদ্দেশে জোরালো ভাষায় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ গরিব হতে পারে, বাংলাদেশের মানুষের মন বড়, কলিজা অনেক বড়, আপনারা (ভারত) একাত্তর সালে আশ্রয় দিয়ে সহযোগিতা করেছেন বলে পিন্ডির জিঞ্জির থেকে দিল্লির জিঞ্জিরে আমাদেরকে আবদ্ধ করতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনাকে দিয়ে। বাংলাদেশের মানুষ আন্দোলন-সংগ্রাম করে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের পতন ঘটিয়েছে, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। দিনের ভোট আর রাতে দেবো না, এই আন্দোলন কোনোভাবে বৃথা যাবে না।’
ফারুক বলেন, ‘অন্তর্র্বতীকালীন সরকার এজন্য এসেছে যে সংবিধান মতো দেশ চলবে। এই সরকার এজন্য এসেছে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ-যুবলীগের মতো ৩ লাখ থ্রি-নট-থ্রি রাইফেল দিয়ে কোনো দিনই সরকার বাংলাদেশে পরিচালিত হতে দেবে না। আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন, আমি এমন একটি নির্বাচন চাই, এমন একটি ভোট চাই যে ভোটে জনগণ এক মাথায় এক ভোট দিতে পারে। মৃত ব্যক্তি আর কবর থেকে উঠে যেন আর ভোট না দিতে পারে। সেজন্য অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা, আপনার কাছে জনগণের আশা, আপনার কাছে আমাদের আশা, আপনার কাছে মুক্তিযোদ্ধাদের আশা আপনি সেই আশা পূরণ করবেন। যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন।’
বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিগত সরকারের আমলে দায়েরকৃত ৪০ লাখ মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘৪০ লাখ মামলা দায়ের করা হয়েছে আমাদের বিরুদ্ধে। আমার বিরুদ্ধে ৮৪টি মামলা। আমার ছোট নাতনির বয়স যখন তিন মাস বয়স, সে কাঁদতেছে তখন আমার বাড়ির দরজা ভেঙে হারুন (ডিবির সাবেক প্রধান হারুন অর রশিদ) আমাকে তুলে নিয়ে যায়। এই কথাগুলো কি আমাদের মনে আছে? তাই ৪০ লাখ মামলা কেনো এখনো রাষ্ট্রপতির আদেশ বলে প্রত্যাহার করা হচ্ছে না জনগণ বলা শুরু করেছে। আর নয় ২০১৪ সাল, আর নয় ২০১৮, আর নয় ২০২৪ সাল। এবার চাই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন।
আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান এসএম শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আবু তাহের, গণদলের এটিএম গোলাম মওলা চৌধুরী, বিএনপির শাহ মো. নেছারুল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com