জেলায় জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধী এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সিভিল সার্জন অফিসের আয়োজনে নড়াইল সরকারি বালিকা বিদ্যালয় ও নড়াইল কালেক্টরেট স্কুলে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডাক্তার আব্দুর রশিদ, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক জুলিয়া সুকায়না, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাশ্বতী শীল, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন বিশ্বাস প্রমূখ। সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার মোট ৮ শত ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫ম শ্রেণী থেকে ৯ম শ্রেণীর ৩৬হাজার ৫শ’৮৮ মেয়ে শিক্ষার্থীকে এবং ৮০৩ জন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত ১০ বছর থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের এ টিকা প্রদান করা হবে।তিন উপজেলায় ৩৭ হাজার ৩৯১ কিশোরীকে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধী এইচপিভি টিকা দেয়া হবে। মোট ১৮দিনব্যাপী চলা এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচির মধ্যে ২৪ অক্টোবর থেকে ১০ কার্যদিবস বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেয়ে শিক্ষার্থীদের এবং ৮ কার্যদিবস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত টিকাদান ক্যাম্পেইন চলবে আগামি ২০ নভেম্বর পর্যন্ত। সিভিল সার্জন ডা. আব্দুর রশিদ জানান, জরায়ুমুখ প্রতিরোধী এইচপিভি (হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস) টিকা কৈশোরকালীন স্বাস্থ্যসেবার নতুন দিগন্ত।এক ডোজের এ টিকায় কোন পাশর্^ প্রতিক্রিয়া নেই। জরায়ুমুখ ক্যান্সার ভাইরাস জনিত একটি প্রাণঘাতী প্রতিরোধযোগ্য সংক্রামক রোগ।কিশোরী বয়সে এইচপিভি টিকা নিলে নারীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়। এ টিকা না নিলে নারীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে যায়। ‘এক ডোজ এইচপিভি টিকা নিন, জরায়ুরমুখ ক্যান্সার রুখে দিন’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম সম্পর্কে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে অবহিতকরণ সভা বুধবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।সভায় জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান, সিভিল সার্জন ডাক্তার আব্দুর রশিদ, জেলা তথ্য অফিসার মো: রোস্তম আলী, জেলা শিক্ষা অফিসার মো: জাহাঙ্গীর আলম, ইউনিসেফ খুলনার চাইল্ড প্রটেকশন অফিসার মুমিনুন নেছা শিখাসহ গালর্স গাইড, বাংলাদেশ স্কাউট, শিক্ষক, গণমাধ্যমকর্মী ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।