মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
অন্যের জন্য গর্ত খুড়লে নিজেই সেই গর্তে পরতে হয়, তার প্রমাণ শেখ হাসিনা-মানিকগঞ্জে রুহুল কবির রিজভী নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে উদযাপিত হয়েছে ময়মনসিংহের গৌরীপুর রিপোটার্স ক্লাবের ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী লালমোহনে পাঁচ নারীকে জয়িতা সম্মাননা কাপাসিয়া থানায় ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপণ মহড়া তারাকান্দায় মানবাধিকার রক্ষা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ নাগরিক কমিটি গঠন কালীগঞ্জে এক রাতের ৩ চুরি আতঙ্কে এলাকাবাসী নগরকান্দায় আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও বেগম রোকেয়া দিবস পালিত বোরহানউদ্দিনে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালিত জিয়ানগরে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত কিশোরগঞ্জে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত

হাতের টাকা ব্যাংকে ফিরছে

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৪

নানা অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত দেশের ব্যাংকিং খাত। কিছু ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার পথে। দুর্বল কিছু ব্যাংককে এরই মধ্যে একীভূত করা হয়েছে। আবার এসব ব্যাংকের তারল্য সংকট কাটাকে অর্থ সরবরাহ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে উচ্চ মূল্যস্ফীতিসহ দুর্বল ব্যাংক একীভূতকরণের বিষয়টি নাড়া দিয়েছে গ্রাহকদেরও। যার সঙ্গে যোগ হয় জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে গ্রাহকদের মধ্যে ব্যাংকগুলোর প্রতি আস্থার সংকট তৈরি হয়। ব্যাংকে রাখা টাকা উত্তোলনের হিড়িক পড়ে। অনেক গ্রাহক প্রয়োজনের চেয়েও অতিরিক্ত টাকা তুলে হাতে রাখতে শুরু করেন। এতে ব্যাংকের টাকা দ্রুত গ্রাহকদের হাতে চলে যেতে থাকে।
তবে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আবারও ব্যাংকগুলোতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরছে। গ্রাহকদের মধ্যে যারা অতিরিক্ত টাকা তুলেছিলেন, তারা এখন সেই টাকা আবার ব্যাংকে রাখতে শুরু করেছেন। ফলে ব্যাংকের টাকা আবার ব্যাংকে ফিরতে শুরু করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত আগস্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ব্যাংকের বাইরে ছাপানো টাকার পরিমাণ ছিল তিন লাখ এক হাজার ৯৪৭ কোটি টাকা। অক্টোবর শেষে সেই টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৭৯ হাজার ৩৪৪ কোটিতে। ফলে ব্যাংকের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ছে। ব্যাংকে ফিরতে শুরু করেছে হাতের টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, জুলাই বিপ্লবের পর তিন লাখ কোটি টাকা ব্যাংকের বাইরে ছিল। এতে ব্যাংকগুলোতে অনেকটা সমস্যা তৈরি হয়। গ্রাহক টাকা না পেয়ে ফিরে আসার ঘটনাও ঘটেছে কয়েকটি শাখায়।
তবে সেই নেতিবাচক দিকের পরিবর্তন হচ্ছে ধীরে ধীরে। ব্যাংকের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ছে। গত অক্টোবর মাসে হাতের টাকা ব্যাংকে ঢুকেছে ২১ হাজার কোটি টাকার বেশি। গ্রাহক এখন হাতের টাকা আবারও ব্যাংকে রাখছেন- জানান ওই কর্মকর্তা।
মানুষের হাতে টাকা ধীরে ধীরে ব্যাংকে ফিরলেও এখনো কিছু ব্যাংকের তারল্য সংকট কাটেনি। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, আমানত ফেরাতে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে আরও উদ্যোগী হতে হবে।
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র
হুসনে আরা শিখা বলেন, কিছু গ্রাহকের আমানতের টাকা উত্তোলনের প্রয়োজন নেই, তারপরও তারা টাকা তুলছেন। এতে ব্যাংকগুলো সাময়িত সমস্যায় পড়ছে। একসঙ্গে এত গ্রাহক টাকা তুলতে গেলে পৃথিবীর কোনো ব্যাংকই তা দিতে পারবে না। গ্রাহকের আমানতের টাকা নিয়ে আতঙ্কের কিছুই নেই। সবাই আমানতের টাকা ফেরত পাবেন। তিনি বলেন, ব্যাংকগুলোকে ভালো অবস্থানে ফেরাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সুপরিকল্পনা আছে। আমানতকারীদের আহ্বান জানাবো- আপনারা প্রয়োজনের বেশি টাকা তুলবেন না। আমরা ব্যাংকের আস্থা ফেরাতে চাই। সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোকে গত দেড় মাসে পাঁচ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকার সাপোর্ট দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com