বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ফ্যাসিস্ট পতিত আওয়ামী সরকারের সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের আহত শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন। গতকাল শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে নূরকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেলে আন্দোলনে আহত কয়েকজন ব্যক্তির ক্ষোভের মুঞে পড়েন তিনি।
হাসপাতালে বুলবুল আহমেদ নামে একজন বলেন, ঘটনার পর শিক্ষার্থীদেরকে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউর রহমানের কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন নিয়ে নেওয়া হয়। তবে এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য পরিচালককে ফোন করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। গত ১৬ সেপ্টেম্বর বেইলি রোডের নওরাটন কলোনি থেকে সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। ২০০১ সাল থেকে সংসদে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিত্ব করেন নূর। সর্বশেষ দ্বাদশ ডামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নীলফামারী-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের একতরফা ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর ২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারি তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। সাবেক মন্ত্রী ও নীলফামারী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা হয়েছে।
আইনজীবী মামুনুর রশিদ পাটোয়ারী জানান, ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী লক্ষ্মীচাপের কাছারি বাজারে আগুন লাগিয়ে দিয়ে লুটপাট চালায়। দুই দিন পর ১৪ ডিসেম্বর উল্লিখিত আসামিরা ভিন্ন দলের নেতা-কর্মীদের মারধর শুরু করেন। এ সময় বাদী লিটন রহমানের পিতা সিদ্দিক আলী আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনীর দ্বারা মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাঁকে বাঁচাতে ছুটে এলে আসাদুজ্জামান নূর দ্রুত তাঁর গাড়ি দিয়ে সিদ্দিক আলীকে চাপা দিয়ে হত্যা করেন।