শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ভালুকায় শীত থেকে বাঁচতে ফুটপাতই উষ্ণতা খোঁজচ্ছেন নিম্নবিত্তরা কয়রায় ইউনিয়ন পরিষদে বাজেট বরাদ্দ বিষয়ে গণশুনানি মানিকগঞ্জে বিএনপি অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ দুইজন গ্রেফতার বগুড়ায় জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা জেলা কমিটির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন মুন্সীগঞ্জের ইতালী প্রবাসীর নেতৃত্বে ১৮ জনের একটি প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাত সিংড়ায় খেজুড় গুড় তৈরীতে ব্যস্ত কারিগররা ধনবাড়ীতে মাসরুমের গুরুত্ব ও উৎপাদন কৌশল শীর্ষক প্রশিক্ষণ তৃণমূলকে গতিশীল করতে পথ-প্রান্তরে ছুটছেন বিএনপি’র আব্দুল খালেক কয়রায় শিশুদের আনন্দ দানে ও মেধা বিকাশে শিশু মেলা জামালপুর বিএডিসি কর্মকর্তা কর্তৃক মসজিদের নামে টাকা তুলে আত্মসাতের অভিযোগ

নেচার ম্যাগাজিনের শীর্ষ দশে ড. ইউনূস

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪

জ্ঞানের নানা শাখায় অবদানের জন্য বিশ্বের শীর্ষ ১০ ব্যক্তির তালিকা করেছে বিজ্ঞান বিষয়ক বৃটিশ সাময়িকী নেচার। ২০২৪ সালে এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার ‘দ্য রেভ্যুলিউশনারি ইকোনমিস্ট হু বিকাম দ্য আনলাইকলি লিডারস অব বাংলাদেশ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সাময়িকীটি। সেখানে ২০২৪ সাল পর্যন্ত জ্ঞান-বিজ্ঞানে অবদান রাখা তালিকাভুক্ত ১০ ব্যক্তির তালিকায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, কয়েক সপ্তাহ বিক্ষোভের পর ৫ই আগস্ট বাংলাদেশের স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর ছাত্র নেতারা শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দেশের নেতৃত্ব গ্রহণের আমন্ত্রণ জানান। নেতৃত্বের কাজটি ড. ইউনূসের জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ছয় দশকের কর্মজীবনে দারিদ্র্য বিমোচনে লড়াই করার জন্য ধারণার মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি। ইউনূসের কাজের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সমস্যা নির্ধারণ করে তা সমাধানের জন্য গবেষণা করা। ইউনূসের সঙ্গে ৩০ বছর ধরে কাজ করা অ্যালেক্স কাউন্টস বলেছেন, তার বয়স আশির কোটায়। তবে তার শারীরিক এবং মানসিক শক্তি এখনও অটুট। তিনি একজন সহানুভূতিশীল মানুষ এবং তার যোগাযোগ পদ্ধতিও দুর্দান্ত। বাংলাদেশের চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ড. ইউনূস। এরপর পড়াশুনার জন্য ১৯৬০-এর দশকে পাড়ি দেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে তিনি পরিবেশগত অর্থনীতির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা নিকোলাস জর্জেসকু-রোগেনের অধীনে পড়াশোনা করেন। তার অন্যতম লক্ষ্য ছিল অর্থনীতি এবং পরিবেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বোঝা। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের কাছ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশে ফিরে আসেন ইউনূস। দেশ গঠনে নিজের ভূমিকার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন তিনি। ক্ষুদ্রঋণ বা মাইক্রোক্রেডিটের জন্য পরিচিত পেয়েছেন ড. ইউনূস। ওই ক্ষুদ্রঋণের পরিমাণ ১০০ ডলার বা তার চেয়ে কম। তিনি দেখিয়েছেন ক্ষুদ্রঋণ সমাজের প্রান্তিক মানুষের ভাগ্য বদলে কেমন ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। ১৯৭০-এর দশকের মাঝামাঝি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির অধ্যাপক থাকাকালীন ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে কাজ শুরু করেন ড. ইউনূস। তিনি একটি মডেল তৈরি করেন যেখানে ব্যবসার মাধ্যমে নারীদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে খুব অল্প পরিমাণ ঋণ দেয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় ১৯৮৩ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন গ্রামীণ ব্যাংক। এর মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে এই ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থার প্রসার ঘটে। বিশ্বব্যাপী আলোচিত হয়েছে তার এই উদ্ভাবন। তবে এর অনেক সমালোচকও রয়েছে। কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠান পরিচালনা এবং ১৭ কোটি মানুষের বাংলাদেশের সংস্কারে নেতৃত্ব দেয়ার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ড. ইউনূস কী ছাত্রদের সংস্কারের দাবি পূরণে সক্ষম হবেন! বিশেষ করে দুর্নীতির অবসান, নাগরিকদের অধিকার, কর্মসংস্থান ও শিক্ষার সম-অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি কী সফল হবেন?- কার্যত সকলেই এখন এ প্রশ্নটি করছে। এসবের পাশাপাশি ড. ইউনূস গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবারের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পারবেন কি না সে বিষয়েও প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com