কুড়িগ্রামের উলিপুরে এক ব্যবসায়ীর ৭টি মহিষ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। পরে ওই ব্যবসায়ী নিরুপায় হয়ে থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ পিক-আপসহ ছিনতাইকৃত ৭টি মহিষ উদ্ধার করে। ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার সুরিরডারা নামক এলাকায়। পরবর্তীতে মহিষ ব্যবসায়ী বাদি হয়ে ১জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৩ জনের বিরুদ্ধে শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে থানায় মামলা করেছেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার রসুলপুর এলাকার মতিবুর রহমানের ছেলে রুবেল ইসলাম(৩০) পেশায় মহিষ ব্যবসায়ী। তিনি দীর্ঘদিন থেকে কুড়িগ্রামের রৌমারী থেকে মহিষ ক্রয় করে দিনাজপুরে নিয়ে বিক্রি করেন। তিনি বৃহস্পতিবার ছোট-বড় ৭টি মহিষ ক্রয় করে রৌমারী থেকে নৌকা যোগে চিলমারী উপজেলার ফকিরেরহাট নৌকাঘাটে পৌছেন। এরপর ওইদিন রাতে পিকআপ (ঢাকা মেট্রো-ক-২৩-২৮১৬) যোগে দিনাজপুরের উদেশ্যে রওনা দেয়ার সময় ওই এলাকার লুৎফর রহমানের ছেলে আরিফ মিয়া (৩০)সহ কয়েকজন পিকআপের গতিরোধ করেন। এরপর আরিফসহ বাকীরা ৭টি মহিষ ক্রয়ের চালান দেখতে চাইলে ওই ব্যবসায়ী তাদের চালান গুলো দেখালে তারা সেগুলো কেড়ে নিয়ে সটকে পড়েন। পরে ওই ব্যবসায়ীসহ পিকআপটি উলিপুর উপজেলার ধামশ্রেনী ইউনিয়নের সুরিরডারা নামক এলাকায় পৌছিলে আরিফসহ তার লোকজন আবারো পিকআপটি আটকিয়ে সবাইকে মারধর করে ৭টি মহিষ নিয়ে নিয়ে চলে যান। এর কিছুসময় পর ছিনতাইকারী আরিফের এক সহযোগি এসে পিকআপসহ চালককে নিয়ে উলিপুর বাজারের দিকে চলে যান। এ ঘটনায় রুবেল মিয়া উলিপুর থানাকে বিষয়টি অবগত করলে পুলিশ তাৎক্ষনিকভাবে অভিযান চালিয়ে উলিপুর স্টেডিয়ামের সামন থেকে খালি পিকআপটি উদ্ধার করেন। পরে রুবেল ইসলাম বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে আরিফ মিয়া সহ অজ্ঞাত ৩জনের বিরুদ্ধে উলিপুর থানায় মামলা করেন। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে চিলমারী থানার ফকিরের হাট ঘাটের নয়াবোস চর এলাকা থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় মহিষ ৭টি উদ্ধার করেন। উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান জানান, মহিষ ছিনাতাইয়ের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মহিষগুলো থানা হেফাজতে রয়েছে। বিজ্ঞ আদালতের আদেশক্রমে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।