মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য আর সেই শ্লোগানকে সামনে রেখে দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে চলছে পিরোজপুর-২ আসনের বি এন পির বর্তমান রাজনীতি।গত ০৫ আগষ্টের পরবর্তী সময়ে সমগ্র বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠে একটা চমৎকার পরিবর্তন আসে। ছাত্র সমাজের কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু হয় রাজনীতির মাঠে গরম হাওয়া। পরবর্তী সময়ে ছাত্র জনতার বদৌলতে ফিরে আসে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্বাধীনতার স্বাদ। গত পনের বছরে ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনার দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেয়েছে এদেশের সর্বস্তরের জনগণ। ইসলামী সংগঠন সহ বিএনপির ভূমিকাও সরকার পতনের আন্দোলনে চমৎকার ভূমিকা ছিল। ইতিহাসে আবারও বড় ভিলেন জাতীয় পার্টি সহ ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনার চামচা চাটুকাররা।শীর্ষ বহু গণমাধ্যম কর্মীরাও খুনি শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্পৃক্ত। ছাত্র জনতার দৃষ্টিতে পুলিশ-ছাত্র লীগ সবচেয়ে বেশি তান্ডব লীলা চালিয়েছেন নিরীহ মানুষের উপর। অথচ গত বছরই আওয়ামী লীগের পতন নিশ্চিত ছিল। মতিঝিল চত্বরে জামাত শিবিরের মহা সমাবেশে আর পল্টন ময়দানে বিএনপির মহা সমাবেশেই শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত হওয়ার কথ। কিন্তু সৃষ্টি কর্তার নীলা খেলা বুঝা মুশকিল।নইলে ছাত্র সমাজের আন্দোলনই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে খুনি শেখ হাসিনার সরকার। শেখ হাসিনার সকল প্রকার কুট কৌশলী নোংরা রাজনীতিও হার মেনেছে। প্রতিবেশী বন্ধু নামের লোভী দেশ ভারতের কারিশমাও কাজে আসেনি। বেয়াদব খ্যাত ছাত্র লীগের সন্ত্রাসী কর্মকা-ও কন্টোল করতে সক্ষম হয়নি। শেখ হাসিনার অন্যতম চালিকাশক্তি পুলিশ প্রশাসনের গুলিও থামাতে পারেনি ছাত্র সমাজের আন্দোলন। অথচ গত পনের বছর ছাত্র শিবির সহ জামাত নিধনে আওয়ামী লীগের ঝুড়ি মেলা ভার। জামায়াতে ইসলামী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি দিয়ে দমন নিপীড়ন চালিয়েছে গত পনের বছর ধরে। আর বিএনপির সাথে নোংরা রাজনীতি কম হয়নি। তারেক রহমানকে হত্যার পরিকল্পনা সফল হয়নি। তিন বারের সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে বিমাতৃসুলভ আচরণ করতে সক্ষম হয়েছে। পাশাপাশি পিলখানা হত্যা,হেফাজত নেতা কর্মীদের হত্যা সহ একের পর এক হত্যার রাজনীতি করে শেখ হাসিনা বিশ্বের মধ্যে বড় খুনির তালিকায় নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। অথচ সেই ০৫ আগষ্ট বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠে একটা নুতন ইতিহাস সৃষ্টি হল।ইসলাম সত্য,ধর্ম সত্য আর মানুষও সত্য। আর সেই মহান কারিগর, সৃষ্টির সেরা মহান আল্লাহর কারিশমা সত্যি সত্যিই চমকে চমকে ইতিহাস সৃষ্টি করলো মহান রব্বুল আলামীন মহান আল্লাহতালা। আর সেই ০৫ আগষ্টের পর পরই দ্বিতীয় স্বাধীনতার মৌ মৌ গন্ধে বিমোহিত বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণরা। সেই সূত্র ধরেই নব রূপে সেজেছে অন্ত বর্তিকালিন সরকার। বিশ্বের মধ্যে একটা সম্পদ এবং আমাদের দেশের রোল মডেল ড. ইউনুসের নেতৃত্বে বর্তমান সরকার। বর্তমান সরকারের বদৌলতে আগামী ২০২৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। রাজনৈতিক পেক্ষাপট অনুযায়ী বর্তমান সময়ে শুরু হয়েছে বিএনপির জেলা-উপজেলার শীর্ষ নেতাদের রাজনৈতিক দৌড় ঝপ। বর্তমান সময়ে পিরোজপুর-২ আসনে (নেছারাবাদ-কাউখালি ও ভান্ডারিয়া) দারুণ ভাবে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছেন মনোনয়নের প্রত্যাশা হিসেবে। চমৎকার ইমেজ ও সুসংগঠিত ফাউন্ডেশন নিয়ে বিগত বিএনপির কঠিন দুঃসময়ে কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে বিএনপির রাজনীতিতে যোগদান করেন। শহীদ প্রসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিক হিসেবে নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে ইতিমধ্যে। নিজের জাত চেনাতে সক্ষম হয়েছে স্বরূপকাঠি উপজেলার পাশাপাশি কাউখালি উপজেলার মধ্যে। নিজ জন্মস্থান ভান্ডারিয়া উপজেলায় নম্বর ওয়ান অলরাউন্ডার। আর সুপ্রিয় পাঠকের জন্য সেই জননন্দিত নেতার নামটা না বললেই নয়।পাঠকের মনে নানান প্রশ্ন উঁকি ঝুঁকি দিচ্ছে হয়তো। কে সেই কর্মী বান্ধব ও সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে মনোনয়ন দৌড়ে বেশ এগিয়ে। আর সেই চিরচেনা নেতার নাম মোঃ মাহমুদ হোসেন। এদিকে আসন বন্টনের রাজনীতির মাঠে গত সংসদ নির্বাচনে নবরূপে সেজেছে স্বরূপকাঠি সহ কাউখালি ও ভান্ডারিয়া উপজেলা নিয়ে পিরোজপুর-২ আসনের সংসদীয় আসন।আর সেই কারনে তিনটি উপজেলার মধ্যে নেছারাবাদ উপজেলার গুরুত্ব বেড়ে যায় অনেকাংশে। ভোটের গানিতিক হিসাবে কাউখালি ও ভান্ডারিয়া উপজেলার চেয়ে ভোট বেশি রয়েছে নেছারাবাদ উপজেলায়। আর সেই কারনে গত সংসদ নির্বাচন থেকে নেছারাবাদ উপজেলার কদর বেড়েছে বহুগুণে। যদিও গত ৫ আগষ্টের পর পরই সমগ্র বাংলাদেশের রাজনীতির পটভূমিতে পরিবর্তন আসে। আর সেই সূত্র ধরেই চলতি সময়ে বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠে জনপ্রিয় দল বি এন পির মাঠ দারুণ অনুকূলে। বিশেষ করে গত সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নীতি নির্ধারকরা নির্বাচন বয়কট করে। শেখ হাসিনা ড্যামি নির্বাচন করেন কঠিন দাম্ভিকতা দেখিয়ে। অথচ নিষ্ঠুরভাবে হত্যা রাজনীতি কারনে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ইমেজ সংকটে পড়েছিলেন। আর সেই কারনে খেশারাত স্বরূপ অলৌকিক শক্তির বদৌলতে কোটা সংস্কার আন্দোলন করে ছাত্র সমাজ একটা ইতিহাস সৃষ্টি করে ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনার পতন ঘটায়। অথচ এতকিছুর পর নবরূপে সেজেছে বাংলাদেশ। অন্তবর্তিকালিন সরকার ক্ষমতায় আসেন। প্রাথমিক দিক নির্দেশনা অনুযায়ী আগামীর জন্য একটা চমৎকার এবং সময় উপযোগী মিশন ও ভিশন নিয়ে এগিয়ে চলছে বর্তমান সরকার। আর সেই কারনে বর্তমান সময়ে বি এন পির শীর্ষ নেতৃবৃন্দও বর্তমান সময়ের সরকারকে শতভাগ সাপোর্ট দিয়ে দারুণ প্রশংসিত হচ্ছে। পাশাপাশি সমগ্র বাংলাদেশের মধ্যে বিএনপির দলীয় কার্যক্রম দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। স্ব স্ব উপজেলার মধ্যে ওয়ার্ড পর্যায়ে মাঠ গোছানোর কার্যক্রম চলছে পুরোদমে। সেই কারনে পিরোজপুর-২ আসনের বিএনপির নেতা মোঃ মাহমুদ হোসেন আগামী সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী। দলের নির্দেশনা মেনে চলার পাশাপাশি স্বচ্ছ রাজনীতির আধুনিক রূপকার মোঃ মাহমুদ হোসেন। ভান্ডারিয়া উপজেলার কৃত্তি সন্তান রাজনৈতিক পরিবারে বেড়ে ওঠা নেতা মোঃ মাহমুদ হোসেন। দলের নির্দেশনা অনুযায়ী বিগত বছরগুলোতে রেমালের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ নেতা কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে একটা চমৎকার উদাহরণ সৃষ্টি করেন। বিগত সময়ে স্বরূপকাঠিতে আগমন উপলক্ষে দলের নেতা কর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভার সকলের মন কাড়ে।বিগত সময়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গা উৎসবে উপজেলার সকল মন্দিরে নগদ অর্থ দিয়ে আন্তরিকতার হাত বাড়িয়েও দারুণ প্রশংসনীয় হয়েছে। দলের সুনাম সুখ্যাতি বৃদ্ধির জন্য নিজস্ব তহবিল থেকে নগদ অর্থ প্রদান করে যাচ্ছে। চলতি বিজয়ের মাসে বরসাকাঠী এলাকায় বিএনপির অফিস কার্যালয় উদ্ভোদন করে আরও প্রশংসিত হয়েছে। স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে প্রতিনিয়ত মাহমুদ হোসেনের জয় জয়কার। এব্যপারে কথা হয় গণ মাধ্যম কর্মীদের সাথে দক্ষিণ বঙ্গের জনদরদী ও কর্মী বান্ধব নেতা মোঃ মাহমুদ হোসেনের সঙ্গে। পিরোজপুর -২ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী মোঃ মাহমুদ হোসেন চমৎকার ও সুন্দর হাসি দিয়ে বলেন, আলহামদুলিল্লাহ। মহান আল্লাহর অসীম রহমতে বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্বাধীনতার স্বাদ পাওয়া যাচ্ছে।
রাজনীতি করার সুন্দর পরিবেশ তৈরী হয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্র জনতার ফসল আজকের অন্তবর্তিকালিন সরকার। শেখ হাসিনার বিদায় ঘন্টা বাজিয়ে দিয়েছেন ছাত্র জনতার। মহান আল্লাহর উপর অঘাত বিশ্বাস ছিল সমগ্র বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের। আসলে এভাবে চলতে পারে না। ভোট দেওয়ার অধিকার কেড়ে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রের ঝাল তৈরী করে খুনি শেখ হাসিনার সরকার। আজ উন্মুক্ত পরিবেশ তৈরী হয়েছে সাধারণ মানুষের জন্য। কথা বলার স্বাধীনতা ফিরে এসেছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সময়ে বিএনপির ৩২ দফা নিয়ে নেতা কর্মীদের নিয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের দুঃশাসন থেকে মুক্ত করতে নিহত সকল পরিবারের জন্য বিশেষ দোয়া কামনা করেন। পাশাপাশি অন্ত বর্তি কালিন সরকারের বদৌলতেও আজকের দ্বিতীয় স্বাধীনতার স্বাদ পাচ্ছে সকল রাজনৈতিক দলগুলো।
মাঠে ময়দানে সভা সমাবেশ করতে পাচ্ছেন। ওয়াজ মাহফিল করতে কোন ধরনের অনুমতির দরকার হয় না। চমৎকার ও পরিপাটি পরিবেশ তৈরী করে যাচ্ছেন বর্তমান অন্তবর্তিকালিন সরকার। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী স্বরূপকাঠি উপজেলার বেশীরভাগ নেতা কর্মী নিয়ে দারুণ খোশমেজাজে মোঃ মাহমুদ হোসেন। স্থানীয় নেতা কর্মীদের নিখাদ ভালবাসার প্রতিদান দেওয়ার জন্য বদ্ধপরিকর মোঃ মাহমুদ হোসেন। স্বরূপকাঠি উপজেলার সাধারণ মানুষ সহ বিএনপির বহু শীর্ষ নেতাসহ হাজার হাজার কর্মীরা বরন করেন পিরোজপুর-২ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী মাহমুদ হোসেনকে। সাধারণ মানুষের নেতা কর্মীদের সুদৃষ্টি একজন মাহমুদ হোসেনের জন্য। শান্তির প্রতিক পিরোজপুর-২ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী মোঃ মাহমুদ হোসেনকে পাওয়ার বাসনা সর্বস্তরের জনতার। আর সেই সূত্র ধরেই অক্লান্ত পরিশ্রম করে সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছেন সময়ের আলোচিত বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী মোঃ মাহমুদ হোসেন।