রাত পোহালেই পর্দা উঠবে ঢাকা আন্তর্জাতিক বানিজ্য মেলার ২৯তম আসরের। ৫ই আগষ্ট গণঅভূত্থ্যানের পর ২৯ তম বাণিজ্য মেলার আসর কবে নাগাদ শুরু হবে তা নিয়ে ছিল অনেকটা সংশয়। তবে সব শংকা কাটিয়ে ১লা জানুয়ারী সকাল ১০টায় মেলার শুভ উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাস্মদ ইউনুস। সে লক্ষে মেলা প্রাঙ্গণে নেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা। রাজধানীর পূর্বাচল উপশহরে স্থায়ী ভেন্যু বাংলাদেশ- চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সাবিউশন সেন্টারে ৪র্থ বারের মত বসছে এবারের মেলা। মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে থাকছে ৩৬২টি ষ্টল। মেলায় থাকছে বাংলাদেশ, কাশমীর, পাকিস্তান, ইটালি, সিঙ্গাপুর সহ ২০টি দেশের নামীদামি কোম্পানির স্টল। আর ৩৬ জুলাইয়ের আদলে সাজানো হয়েছে মেলার প্রধান ফটক। মেলার প্রধান প্রবেশদ্বারে পূর্ব পাশে থাকছে ৩৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদের প্রতি সম্মান রেখে তৈরী করা হচ্ছে শহীদ আবু সাঈদ কর্নার ও মূল ভবনের উত্তর পাশে থাকছে মুগ্ধ কর্নার। মূল ভবনের ভেতরে থাকছে ইয়ুথ প্যাভিলিয়ান। দর্শনার্থীদের বসার জন্য থাকবে ৩টি সিটিং জোন। ব্যাংকিং লেনদেনের জন্য থাকতে ডাচ বাংলা ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকের একাধিক বুথ। মেলায় আসা শিশুদের
জন্য রয়েছে একটি ডিজিটাল শিশু পার্ক। মেলায় আগত দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় রয়েছ মোতায়েন থাকবে ৭ শতাধিক সংখ্যক পুলিশ সদস্য। এছাড়া সার্বক্ষনিক টহলে থাকবে সেনাবাহিনীর অন্যান্য আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য। কোন বিশৃংখলা ঘটলে তাৎক্ষনিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া জন্য থাকবে একটি পুলিশ ক্যাম্প থাকবে। এছাড়া সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় থাকবে ২৩৪ টি সিসি ক্যামেরা ও ৫ টি ওয়াচ টাওয়ার। রাজধানীসহ নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী জেলার লোকজন যেন নির্বিঘেœ মেলায় আসতে পারেন সেজন্য অন্যান্য বছরের মত থাকতে বিআটিসি’র ৮০টি সাটল বাস। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার মেলায় দর্শনার্থীর উপস্থিতি বেশ ভাল হবে বলে আশাবাদী মেলা কর্তৃপক্ষ। এবার বাড়িতে বসেই অনলাইনে কাটা যাবে বানিজ্য মেলার প্রবেশ টিকেট। সব মিলিয়ে এবারের মেলা হবে আরো উপভোগ্য। মঙ্গলবার দুপুরে বাণিজ্য মেলা উপলক্ষে মেলা প্রাঙ্গণে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় ,বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের সচিব সেলিম উদ্দিন, বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) আব্দুর রহিম খানসহ আরো অনেকে। এ সময় তারা আরো বলেন এবারের বাণিজ্য মেলায় প্রথমবারের মতো অনলাইনে বিভিন্ন ক্যাটাগরির স্টল/প্যাভিলিয়ন স্পেস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় প্রথমবারের মতো ই-টিকেটিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বিআরটিসির ডেডিকেটেড বাস সার্ভিসের পাশাপাশি যুক্ত হচ্ছে বিশেষ ছাড়ে উবার সার্ভিস। এছাড়া মেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের সম্মানার্থে তৈরি করা হয়েছে জুলাই চত্বর ও ৩৬ চত্বর। সঙ্গে দেশের তরুণ সমাজকে রপ্তানি বাণিজ্যে উদ্বুদ্ধ করণে তৈরি করা হয়েছে ইয়ুথ প্যাভিলিয়ন।