শিক্ষাজীবনে লালিত স্বপ্নকে বাস্তবায়নের প্রত্যয় নিয়ে আনন্দমুখর পরিবেশে নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে মাইলস্টোন কলেজ দক্ষিণখানে। এসময় ফুলেল শুভেচ্ছায় আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেওয়া হয় ২০২৪Ñ২৫ শিক্ষাবর্ষে অধ্যয়নরত একাদশ শ্রেণির নবীন ছাত্রছাত্রীদের। গত ৩১ ডিসেম্বর কলেজ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত নবীন ছাত্রছাত্রীদের বরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাইলস্টোন কলেজ দক্ষিণখানের অধ্যক্ষ প্রফেসর এম এ মান্নান। বর্ণিল আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাইলস্টোন কলেজের সম্মানিত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জিয়াউল আলম। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাইলস্টোন কলেজ দক্ষিণখান’র পরিচালক মিসেস ফাল্গুনী অধিকারী, মোঃ মোতাসিম বিল্লাহ, সহকারি পরিচালক মিসেস বিলকিস আক্তার এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মাসুম রেজা প্রমুখ।
মনোমুগ্ধকর নবীনবরণ অনুষ্ঠানে সকলকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন মাইলস্টোন কলেজ দক্ষিণখানের অধ্যক্ষ প্রফেসর এম এ মান্নান। স্বাগত বক্তব্যে তিনি একজন শিক্ষার্থীর জন্য কলেজ জীবনের দায়িত্ব, শিক্ষা এবং উন্নতির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। অধ্যক্ষ প্রফেসর এম এ মান্নান তার স্বাগত বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় এবং সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের জন্য উৎসাহিত করেন। এছাড়াও কলেজের পরিবেশ, সুযোগ-সুবিধা এবং শিক্ষার মান সম্পর্কে আলোচনা করেন যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের সম্ভাবনা অনুযায়ী উন্নতি করতে পারে। নবীনবরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মাইলস্টোন কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জিয়াউল আলম বলেন, শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য হলো মানুষের আত্মমর্যাদা, ব্যক্তিত্ব এবং স্বনির্ভরতা গড়ে তোলা। তিনি শিক্ষার্থীদের দুরন্ত গতিবেগ, সৃজনশীলতা, নির্ভীকতা, সংস্কৃতিবোধ এবং স্বদেশপ্রেমের গুরুত্ব তুলে ধরেন যাতে তারা এসব গুণাবলী অর্জনের মাধ্যমে সফল ও সুন্দর জীবন গড়তে সক্ষম হয়। অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জিয়াউল আলম একাডেমিক ও অবকাঠামোগতভাবে প্রত্যাশিত অগ্রগতির জন্য মাইলস্টোন কলেজ দক্ষিণখানের প্রতিষ্ঠাতা কর্নেল নুরন নবী (অব.) এর ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং সকল শিক্ষকÑশিক্ষিকা, ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। আনন্দঘন দিনটিতে কলেজের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে মনোমুগ্ধকর অনুষ্ঠান উপহার দেয়। শিক্ষার্থীদের প্রতিভা ও সৃজনশীলতা প্রকাশ পায় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মসূচির মাধ্যমে যা উপস্থিত সকলের মন ছুঁয়ে যায়। নান্দনিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি কলেজের পরিবেশকে উৎসবমূখর করে তোলে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃষ্টি করে একতা ও সহযোগিতার এক অনন্য অনুভূতি।