পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আবু সালেহ‘র বিরুদ্ধে অনলাইন পেইজে মিথ্যা সংবাদ প্রচার ও আটককৃত আ.লীগ নেতাকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে। তবে পুলিশ বলেছে কাউকে ছেড়ে দেয়া হয়নি। ৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় উপজেলার বেতমোর বাজারে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন এ কর্মসূচির আয়োজন করেন। এসময় ইউনিয়ন বিএনপি নেতা পান্না মিয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক মো. জসিম উদ্দিন ফরাজি, উপজেলা বিএনপি নেতা শামস্ সওকত, মাহবুবুর ইসলাম নান্না, যুবদল নেতা ওলিউল ইসলাম রিপন মাতুব্বর, জাহাঙ্গীর হোসেন বাদল, ছাত্রদল নেতা মো. রিযাজ উদ্দিন, ইউনয়ন যুবদল নেতা মো. হাফিজ খান, মো. নুরুজ্জামান পাত্তর, ছাত্রদল নেতা আবু হানিফ প্রমূখ। বক্তারা বলেন, বেতমোর রাজপাড়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড আ,লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক এমাদুল হককে দস্যু প্রকৃতির লোক আখ্যা দিয়ে স্থানীয় জনতা আটক করে গত রোববার পুলিশের হাতে তুলে দেন। তাকে ছাড়িয়ে নিতে উপজেলা বিএনপি নেতা আবু বকর সিদ্দিক বাদল ও পৌর যুবদল নেতা আবুল কালম আজাদ (আবু মাস্টার) সুপারিশ করেন বলে দাবি করেন। পরে থানা পুলিশ এমাদুল হককে ছেড়ে দেন। অপর দিকে এমাদুল হক ছাড়া পেয়ে ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি‘র সাবেক সভাপতি আবু সালেহ চাঁদা দাবি করেছে বলে স্থানীয় দুই আনলাইন পেইজে বিবৃতি দেন। এঘটনায় মঠবাড়িয়া থানার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আব্দুল হালিম এর কড়া সমালোচনা ও আ.লীগের দোষর আখ্যা দিয়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যে তার অপসারনের দাবি করেন। এ ব্যাপারে পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবুল কালম আজাদ (আবু মাস্টার) তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, আ.লীগ নেতা এমাদুল হকের পক্ষে কোন প্রকার সুপারিশের প্রমান পেলে আমি শাস্তি গ্রহণ করতে প্রস্তুত।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবুবকর সিদ্দিক বাদল বলেন, আ.লীগ নেতাকে ছাড়ার ব্যাপারে সুপারিশের প্রশ্নই আসেনা। রাজনৈতিক গ্রুপিংয়ের কারনে আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। মঠবাড়িয়া থানার (ওসি তদন্ত) আব্দুল হালিম বলেন, অসুস্থতার কারনে এমাদুল হককে হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে আজ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।