হালুয়াঘাটে মানব পাচার ও ধর্ষনের দায়ে স্বামী-স্ত্রীকে আটক করেছে ধোবাউড়া থানা পুলিশ। ঘটনা সুত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট ধোবাউড়া উপজেলার বাঘবের ইউনিয়নের সানন্দখিলা গ্রামে মাদ্রাসা পড়ুয়া ১৬ বছরের এক কিশোরীকে মাসিক তিন হাজার টাকা বেতনে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে হালুয়াঘাট উত্তর খয়রাকুড়ি গ্রামের আব্দুল বারেকের স্ত্রী মোছাঃ রাশিদা খাতুন ফুসলিয়ে নিয়ে আসে। এর পর থেকে কিশোরীর উপর নির্যাতন শুরু হয় এবং তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। এ দিকে দুইদিন পর থেকেই রাশিদার স্বামী আব্দুল বারেক কিশোরীর ইচ্ছের বিরুদ্ধে তাকে নিয়মিত ধর্ষণ করিতে থাকে। এছাড়াও বহিরাগত লোকজন দিয়ে প্রতিদিন নিজ বাড়িসহ গভীর রাতে বিভিন্ন জায়গায় মোটরসাইকেলে নিয়ে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে পতিতা বৃত্তিতে বাধ্য করেন। কিশোরীর পিতা এমন সংবাদ পেয়ে ধোবাউড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে ধোবাউড়া থানা পুলিশ গতকাল মধ্যরাতে আব্দুল বারেকের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার সহ স্বামী- স্ত্রীকে আটক করতে সক্ষম হয়। এ বিষয়ে বুধবার দুপুরে ধোবাউড়া থানায় একটি ধর্ষন ও মানব পাচার আইনে মামলা দায়ের করেন কিশোরীর পিতা। ধোবাউড়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, উক্ত ঘটনার সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ওসি তদন্ত চাদঁ মিয়া, এস.আই আব্দুল খালেক, মলয় চক্রবর্তী, হালুয়াঘাট থানার সেকেন্ড অফিসার মোজাম্মেল হোসাইন, ধোবাউড়া মহিলা পুলিশ সাকিরা আফরিন সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার সহ আব্দুল বারেক ও তার স্ত্রীকে আটক করে জেলা হাজতে প্রেরন করা হয়।