ধানমন্ডি ৩২ নাম্বার ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে আর ভারত সেটা নিয়ে কথা বলবে না তা কি করে হয়? সম্প্রতি এমন মন্তব্যই করেছেন ড. জাহেদ উর রহমান। তার মতে, বাংলাদেশে সম্প্রতি যা হচ্ছে তা নিশ্চিতভাবেই ভারতের পরিকল্পিত। মোদি সরকার হাসিনাকে দিয়ে ইচ্ছে করেই এমন উস্কানীমূলক বক্তব্য দিয়েছে। যাতে করে বাংলাদেশে অস্থিতিশীল অবস্থার সৃষ্টি হয়। আর এই বিশৃঙ্খলার মধ্যে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূস এর অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে অযোগ্য প্রমাণ করতে পারে ভারত এই পরিকল্পনাই ছিলো প্রতিবেশিদের। বাংলাদেশের জনগন ভারতকে বন্ধু মনে করলেও ভারত যেনো তার বিপরীত। গণহত্যা চালিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে তারা লঙ্ঘন করেছে পররাষ্ট্র নীতি। এর ওপর আবার হাসিনা তাদের দেশে বসেই উস্কানীমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। বাংলাদেশ এটার বিরোধীতা করলে দিল্লি বলছে হাসিনার বক্তব্যের দ্বায়ভার তার নিজের।
সত্যিই কি কিছু করার নেই এ বিষয়ে ভারতের? ড. জাহেদুর রহমান তার রাজনৈতিক বিশ্লেষণে তুলে ধরছেন এ বিষয়টিও। তার মতে, ভারত ইন্টারনেট বন্ধ করলে ও হাসিনার স্মার্টফোন নিয়ে নিলেই তো উস্কানীমূলক বক্তব্য দেওয়া বন্ধ হয় তার। তবে ভারত সেটা করবে না বলেও তার আলোচনায় উল্লেখ করেন এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক। ভারত এতটুকুতেই চুপ নেই। বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধ বাঁধানোর সকল ষরযন্ত্রই করছে তারা। তাদের মিডিয়াকে ব্যবহার করে বাংলাদেশ ও সংখ্যালঘু নিয়ে নানা প্রোপাগান্ডা ছড়ানোতেও জুড়ি নেই ওদের।বাংলাদেশের মানুষ আর চুপ করে থাকবে না। ভারতকেও উচিৎ জবাব দেবে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্র্বতী সরকার, এমনটিই প্রত্যাশা সচেতন মহলের।