সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরেরর কৈজুরীতে অবস্থিত এমপিওভুক্ত কৈজুরী উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজে মেয়াদ শেষ হলেও নিয়মবহির্ভূতভাবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়ে স্বপদে বহাল থাকার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পরেও আব্দুল খালেক নামের ওই অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে নিয়মবহির্ভূতভাবে নিয়োগ নেওয়া ও ইচ্ছেমতো প্রতিষ্ঠান চালানোর অভিযোগ ওঠেছে। প্রতিমাসে বেতনও তুলছেন। বিষয়িিট নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কৈজুরী উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের নিয়মবহির্ভূতভাবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নেওয়া অধ্যক্ষ এডভোকেট আব্দুল খালেক শুরু থেকেই তার ইচ্ছেমতো চালাতেন প্রতিষ্ঠানটি। পারিবারিক প্রতিষ্ঠান মনে করতেন তিনি। যখন যেটা মনে করেন তাই করেন তিনি। জানা গেছে, ওই অধ্যক্ষ সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কয়েক বছর আগেই অবসর গ্রহণ করেছেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ ফান্ড এবং প্রশাসনিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তিনি নিয়মিত বেতন তুলছেন। বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরেই গোপনে চলছিল। তবে, সাম্প্রতিক সময়ে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের গত ১২/০৬/২০২৩ইং তারিখের স্মারক নং-ওএম/৭৪/ম/১৪-১২১২মোতাবেক কোন ক্রমেই চাকরির বয়স ষাট বছর পূরণ হলে সরকারি বিধি অনুযায়ী তাকে অবসর গ্রহন করতে হবে, সহকারী প্রধান শিক্ষক বা জৈষ্ঠ কোন শিক্ষককে অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব অর্পণ করতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অনুমোদন ছাড়া অবসরে যাওয়া প্রতিষ্ঠান প্রধান অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষক পদে দ্বায়িত্ব পালন সরকারি আদেশের পরিপন্থী। তবে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগোর অনুমোদন আসার পর সেই তারিখ থেকে দায়িত্ব পালন করতে পারবে। কিন্তু বর্তমান চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া অধ্যক্ষ কাউকেই দ্বায়িত্ব হস্তান্তর না করে স্বপদে বহাল থেকেই ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে স্বপদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়েছে। এখনো প্রতিষ্ঠানের ফান্ড থেকে দেদারসে টাকা উত্তোলন করছে। অভিভাবকরা জানান, আমরা আমাদের সন্তানদের সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ আশা করি। কিন্তু এমন অনিয়ম মেনে নেওয়া যায় না। এটি বিদ্যালয়ের স্বচ্ছতা ও সুনামের জন্য হুমকি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির একাধিক সূত্রের দাবি, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আনার চেষ্টা করা হলেও এখনও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, এভাবে নিয়মবহির্ভূত অর্থ উত্তোলন চলতে থাকলে প্রতিষ্ঠানের ফান্ড এবং সার্বিক শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। এদিকে দ্রুত এ সমস্যার সমাধান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন সুধীমহল। এ বিষয়ে ওই অধ্যক্ষর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সকল নিয়মকানুন মেনেই আমি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়েছি। এবিষয়ে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস,এম শাহজাদত হোসেন বলেন, যাচাই বাছাই করে নিয়মবহির্ভূতভাবে নিয়োগের প্রমান পাওয়া গেলে বিধিমোতাবেক ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। এব্যাপারে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, এধরণের কোন কিছু হয়ে থাকলে তদন্ত কমিটি গঠন করে তাদের মাধ্যমে তদন্ত করে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।