জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় স্থগিত হওয়া জিল বাংলা চিনিকল ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। ১১ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) জিল বাংলা চিনিকলের সর্বস্তরের শ্রমিক কর্মচারীদের উদ্যোগে মিলের অভ্যন্তরে এ বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি ওই ইউনিয়নের ২০২২-২০২৪ মৌসুমের জন্য নির্বাচিত দ্বি-বার্ষিক কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। ২০২৪-২৬ মাড়াই মৌসুমে ওই ইউনিয়ন কমিটি গঠনের উদ্দেশ্যে ২৮ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন নির্ধারণ করে গত ২৩ জানুয়ারী তফসিল ঘোষণা করা হয়। এর আগে কর্তৃপক্ষ সিআইসি শরিফুল ইসলামকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান (কমিশনার) ও মসিউর রহমান, আমিনুল ইসলাম, শাহআলমকে সহকারী কমিশনার করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন পরিচালনার জন্য কমিটি গঠন করে। এ নির্বাচনে ১১টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন মিলটির শ্রমিক কর্মচারীগণ। তফসিল ঘোষণার দিন প্রতিটি পদে একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দেন। তফসিল ঘোষণার দিন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী শওকত-উর-রহমান সোহাগ, রিয়াজুল কায়সার খোকন মোল্লার মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়। সংঘর্ষের কারণে কর্তৃপক্ষ নির্বাচন সাময়িক ভাবে স্থগিত ঘোষণা করে। জিবাচিক শ্রমিক-কর্মচারীদের দাবি, এখন মিলটিতে ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের নির্বাচন আয়োজনের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরে এসেছে। আখ মাড়াই ও চিনি উৎপাদন মৌসুম চলমান অবস্থায় ওই ইউনিয়নের নির্বাচন দিলে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি বা বিশৃঙ্খলা হবে না। কর্তৃপক্ষের উচিত পাঁচ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের ব্যবস্থা করা। নির্বাচন না হওয়ায় মিলটির শ্রমিক কর্মচারীদের মধ্যে উত্তেজনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিক্ষোভ মিছিলটি সুগার মিল গ্যারেজের সামনে থেকে শুরু হয়। পরে দুই নম্বর গেইটের সামনে এসে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন সিনিয়র ফিটার আমির হোসেন, ডোরমেট ইস্তেখার আলম, জুস সালফিউটিশন হেলপার মো. নাছিম, মৌসুমী ড্রাইভার মির্জা মনোয়ার হোসেন ও এলএমএসএস জবেদ আলী প্রমূখ। পরে মিলটির ব্যাবস্থাপনা পরিচালকের সাথে দেখা করে নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানান। শ্রমিক কর্মচারীদের প্রশ্নের মুখে মিলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন জানান, বিক্ষোভ করা নিস্প্রয়োজন। ওয়ার্কাস ইউনয়নের নেতৃস্থানীয় শ্রমিক কর্মচারীগণসহ ওই নির্বাচনের জন্য গঠনকৃত কমিশন বিধি মোতাবেক আমাকে জানালে আমি নির্বাচনের অনুমতি দেব। সাধারণ শ্রমিক কর্মচারীদ্বারা নির্বাচন প্রভাবিত হয়নি বা অপ্রীতিকর সংঘর্ষ হয়নি।