প্রখ্যাত গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায় গুরুতর অসুস্থ। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা বিভাগে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে তাকে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দ বাজার অনলাইন এসব তথ্য জানিয়েছে। প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা এখনও স্থিতিশীল নয়। চিকিৎসকেরা তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। শিল্পীর অন্ত্রে অপারেশনের পর তার হার্ট অ্যাটাক হয়। তারপর দ্রুত শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সংক্রমণের ফলে পরিস্থিতি ক্রমে জটিল হয়ে উঠতে শুরু করে। হাসপাতাল সূত্রে দেশটির গণমাধ্যম জানিয়েছে, আপাতত জ্ঞান নেই শিল্পীর। তিনি নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত হয়েছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে প্রতুলের জন্য গঠন করা হয়েছে মেডিকেল
শিল্পীর চিকিৎসার সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল সোমবার শিল্পীকে দেখতে রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও ইন্দ্রনীল সেনকে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি ওই হাসপাতালে অসুস্থ সংগীতশিল্পীকে দেখতে যান মমতা। শিল্পীর সঙ্গে হাসপাতালে বেশ কিছুক্ষণ সময়ও কাটান তিনি। এসময় প্রতুলের বিখ্যাত ‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানটি গেয়েও শোনান মমতা।
প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের অ্যালবামগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘পাথরে পাথরে নাচে আগুন’ (১৯৮৮), ‘যেতে হবে’ (১৯৯৪), ‘ওঠো হে’ (১৯৯৪), ‘কুট্টুস কাট্টুস’ (১৯৯৭), ‘স্বপ্নের ফেরিওয়ালা’ (২০০০), ‘তোমাকে দেখেছিলাম’ (২০০০), ‘স্বপনপুরে’ (২০০২), ‘অনেক নতুন বন্ধু হোক’ (২০০৪), ‘হযবরল’ (২০০৪), ‘দুই কানুর উপাখ্যান’ (২০০৫), ‘আঁধার নামে’ (২০০৭)। বাংলাদেশে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন থেকে প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের সর্বশেষ অ্যালবাম প্রকাশিত হয় ২০১১ সালের মার্চে। অ্যালবামটির নাম ‘আমি বাংলায় গান গাই’। এ ছাড়া বাংলা চলচ্চিত্র ‘গোঁসাইবাগানের ভূত’ ছবিতেও গেয়েছেন তিনি। প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে তৈরি হয়েছে বেশ কিছু তথ্যচিত্র। তারমধ্যে অন্যতম মানস ভৌমিক পরিচালিত ‘প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের গান’ এবং ‘ডিঙা ভাসাও’।